কলকাতা: 'আর জি কর আন্দোলনের অপমৃত্যু', নাম না করে আন্দোলনকারীদেরই নিশানা শুভেন্দুর। তিনি বলেন, 'আন্দোলন ছিল অভয়াকে বিচার পাইয়ে দেওয়া। আপনার সেই আন্দোলনের দিক পরিবর্তন করে দিলেন। স্বাস্থ্য ভবনের সিন্ডিকেট ভাঙার দাবি তুললেন। এটা জনগণের দাবি নয়, এটা আপনাদের পেশার দাবি। যাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলন তিনি এখনও নিজের জায়গায় অনড়। তিনি মাথা নত করেননি, আপনারা তাঁর বাড়িতে আলোচনা করতে চেলে গেলেন। অরাজনৈতিক তকমা দিতে প্রধান বিরোধী দলকেই আন্দোলনে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এই সব করিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়', আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর।
আরও পড়ুন, 'পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করতে পারেনি..', শিয়ালদায় দেহ উদ্ধারের ঘটনায় অভিযুক্তদের বেকসুর খালাসের নির্দেশ
সম্প্রতি আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালের সেই ক্রাইম সিন অর্থাৎ অপরাধস্থল দেখতে শিয়ালদা আদালতে আবেদন জানিয়েছেন নিহত তরুণী চিকিৎসকের পরিবার। সেই মামলায় এদিন শিয়ালদার অ্যাডিশনাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী শীর্ষেন্দু বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, আইনে কোথাও বলা নেই ক্রাইম সিনে আইনজীবী যেতে পারবেন। CRPC বা BNS-এ এই সংস্থান নেই। আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজের প্রাক্তন অধ্য়ক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন OC অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবীও নিহত চিকিৎসকের মা-বাবার 'ক্রাইম সিনে' যাওয়ার আবেদনের বিরোধিতা করেন। তখন পরিবারের তরফে আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি সওয়াল করেন, আপত্তি করে কী লুকোতে চাইছে রাজ্য সরকার? কী হয়েছিল বুঝতে আমরা ঘটনাস্থলের টপোগ্রাফি জানতে চাই। আমরা সেমিনার রুমে প্রবেশ করতে চাই না। ক্রাইম সিনের কাছেও যেতে চাই না। অভিযোগকারী তাঁর মেয়েকে হারিয়েছেন। তদন্তে গাফিলতি না থাকলে কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারের হাত থেকে এই মামলা CBI-কে দিত না।
সিবিআইয়ের আইনজীবী পার্থ সারথি দত্ত জানান, এ বিষয়ে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। আর জি কর মেডিক্য়ালে নিহত চিকিৎসকের বাবা বলেন, রাজ্য সরকার এবং CBI একসাথে প্যাক্ট হয়ে গেছে। দশ মাস ধরে CBI কিছু করেনি। সেন্ট্রাল ফরেন যে রিপোর্টগুলো এসেছে সেটাও ভালো করে পড়েনি। ক্রাইম সিন সম্পর্কে cfsl যে প্রশ্নগুলো তুলেছে, সেটাই দেখতে যাবার দরকার আমাদের। সিবিআই কিছু করবে না যা করার আমাদেরকেই করতে হবে। সিবিআই কে আমরা আদালতেই বুঝে নেব। আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালের ভাইস প্রিন্সিপাল জানিয়েছেন, আদালত অনুমতি দিলে নিহত চিকিৎসকের মা-বাবাকে ক্রাইম সিনে নিয়ে যেতে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই।