কলকাতা: আরজিকরের মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রতিবাদের ঢেউ চারিদিকে। রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়েই ৫দিনে ডাক্তারদের মিশন স্বাস্থ্যভবন। 'জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলার ষড়যন্ত্র চলছে' ! এহেন পরিস্থিতির মধ্য়েই সামনে আসে একটি ভাইরাল অডিও। যদিও এই ভাইরাল অডিও -এর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। আর সেই ভাইরাল অডিও কাণ্ডেই এবার গ্রেফতার DYFI নেতা কলতান দাশগুপ্ত। মুখ খুললেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
ডাক্তারদের ধর্নামঞ্চে হামলার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতার কলতান। গতকালই এই ঘটনায় হালতু থেকে গ্রেফতার করা হয় সঞ্জীব দাসকে। অডিও ক্লিপ প্রকাশ করে ডাক্তারদের ধর্নামঞ্চে হামলার চক্রান্তের অভিযোগ করেন কুণাল ঘোষ। এদিকে কলতান দাশগুপ্তের গ্রেফতারিতে সুজন চক্রবর্তী একহাত নিয়েছেন শাসকদলকে। ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। আর এরপরেই বড় প্রশ্ন তুললেন কুণাল ঘোষ। কুণাল ঘোষ বলেন, 'তৃণমূলের বিরুদ্ধে যা বলবেন, দেখাবেন, সব সত্যি! আর বিরোধীদের অডিও বেরোলে সেটা চক্রান্ত?' সোশ্যাল পোস্টে কুণালের আরও দাবি, অডিও তো ওদের শিবির থেকেই বাইরে। সুজনদারা বলুন, গলা কলতানের কিনা? সরকারকে বিপাকে ফেলতে জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্নায় অন্তর্ঘাতমূলক হামলার চক্রান্ত। তাঁদের চক্রান্ত ফাঁস বলে রাগ।'
রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস ইনচার্জ, মিডিয়া ও আইটি সেল দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন,আমি নিশ্চিত যে ১৪ তারিখ রাত্রিবেলা আর জি কর-এ যে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনার পিছনেও DYFI নেতাদের প্ল্যানিং ছিল, সিপিএম নেতাদের প্ল্যানিং ছিল।শুক্রবার একটি ফোনালাপ প্রকাশ্য়ে এনে বিস্ফোরক দাবি করেছেন কুণাল ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্নাস্থলে হামলার ছক কষা হয়। সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সিপিএমের যুব সংগঠন DYFI-এর মুখপত্র 'যুবশক্তি'র সম্পাদক কলতান দাশগুপ্তকে।১৪ অগাস্ট রাতে, আর জি কর হাসপাতালে হামলার ঘটনায় DYFI-যোগ নিয়ে ফের একবার প্রশ্ন তুললেন দেবাংশু ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন, ডাক্তারদের ধর্নামঞ্চে হামলার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতার DYFI নেতা কলতান
দেবাংশু বলেন,'সিপিএমের এই নোংরা চক্রান্ত দেখার পর আমি নিশ্চিত যে ১৪ তারিখ রাত্রিবেলা আর জি কর-এ যে হামলার ঘটনা ঘটেছিল সেই ঘটনাতেও যে DYFI-এর পতাকা দেখা গেছিল ওটা শুধুমাত্র একটা উদাহরণ নয়। ওই ঘটনার পিছনেও DYFI নেতাদের প্ল্যানিং ছিল, সিপিএম নেতাদের প্ল্যানিং ছিল।' যেদিন মধ্য়রাতে, আর জি কর হাসপাতালে তাণ্ডব চলে, সেদিন ব্য়ারিকেড ভাঙার এই ছবিকে হাতিয়ার করে তৃণমূল পাল্টা দাবি করেছিল, এই ছবি থেকেই স্পষ্ট, বাম ছাত্র-যুবরা গোটা ঘটনার সঙ্গে জড়িত। মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, 'বহিরাগত কিছু রাজনৈতিক লোক, যারা বাংলায় অশান্তি করতে চান, বাম এবং রাম। তারা একত্রিত হয়ে এই গন্ডগোলটা করেছে।কারও হাতে জাতীয় পতাকা, তারা হচ্ছে বিজেপি। আর কারও হাতে DYFI-এর সাদা লাল পতাকা।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।