প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : আরজি কর মেডিক্য়ালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের মামলায় সোমবার থেকে শিয়ালদহ আদালতে শুরু হচ্ছে বিচার প্রক্রিয়া। ১১ নভেম্বর থেকে রোজ চলবে এই মামলার শুনানি।
এর আগে, এই মামলায় সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিটে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের নাম ছিল। গত সোমবার শিয়ালদহ আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়। আদালত থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রিজন ভ্য়ান থেকে সরকার তাঁকে ফাঁসাচ্ছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি।
গত, সোমবার আদালত থেকে বেরিয়ে প্রিজন ভ্যানে উঠে চিৎকার করে বিস্ফোরক দাবি করে সঞ্জয় রায়। বেরিয়ে যাওয়ার সময় সঞ্জয় রায় দাবি করে , সে নির্দোষ! এছাড়াও আরও বিস্ফোরক দাবি শোনা যায় তার গলায়। সঞ্জয় বলে, 'আমার কোনও কথা শোনেনি। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমার নামে সব দোষ দেওয়া হচ্ছে। আমি ধর্ষণ-খুন করিনি। আমাকে বলতে দেওয়া হয়নি, আমাকে নীচে নামিয়ে দেওয়া হল। আমি পুরোপুরি নির্দোষ আমায় ফাঁসানো হয়েছে।' সঞ্জয়ের দাবি, ডিপার্টমেন্ট তাকে মুখ বন্ধ রাখতে বলেছিল। তার কথা শোনা হয়নি। তবে সূত্রের খবর, সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ রয়েছে সিবিআই এর হাতে।
আদালত সূত্রের খবর, সিবিআই চার্জগঠন করার সময় ১২৮ জনকে সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আদালতে প্রথম পর্যায়ে ৫৬ জনের সাক্ষী নেওয়া হবে। সূত্রের খবর , ১১ নভেম্বর আরজি কর মেডিক্য়ালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের মামলার বিচার প্রক্রিয়ার শুরুর দিনই নির্যাতিতার পরিবারের কারও সাক্ষ্য নেওয়া হবে।
গত ৯ অগাস্ট আর জি কর হাসপাতালের চারতলায় সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসকের ক্ষতবিক্ষত দেহ। ধর্ষণ ও খুনের মামলা দায়ের হয় কলকাতার সিঁথি থানায় । ঘটনার পরদিন কলকাতা পুলিশ একটি ছেঁড়া হেডফোনের তার ও সিসিটিভির ফুটেজের সূত্র ধরে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে। পরে সিবিআই এই ধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্তভার হাতে নেয়। তারপর গত ৭ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। সেখানে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের নামই ছিল।
১১ নভেম্বর থেকে মামলার বিচারপর্ব বা ‘ট্রায়াল’ শুরু হচ্ছে দুপুর ২ টোয়। সওয়াল জবাব চলবে বন্ধ দরজার পেছনে । ছুটির দিনগুলি ছাড়া প্রত্যেকদিনই বিচারপর্ব চলবে ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে