কলকাতা: এরকম একের পর এক দাবি করেই, টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে সিবিআই। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সির চাঞ্চল্যকর দাবি, ধৃত ওসি-র ষড়যন্ত্রের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল সঞ্জয় রায়কে আড়াল করা। এই প্রেক্ষাপটে এবার সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে ফের হেফাজতে চাইল সিবিআই।
সন্দীপ-অভিজিৎকে আরও ৩ দিনের হেফাজত চেয়ে আবেদন সিবিআইয়ের। বলা হয়েছে, 'টালা থানা থেকে সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক উদ্ধার হয়েছে। সেগুলো তদন্ত করে দেখা দরকার। কিছু মোবাইল নম্বর পাওয়া গেছে, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। 'এবার সিসি ফুটেজের ভিত্তিতে সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসিকে জেরা করা দরকার', সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে ফের ৩ দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন সিবিআইয়ের। 'চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের পর আরও একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা সন্দীপ-অভিজিতের। জেরার সময় আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ও টালা থানার ওসি সদুত্তর দেননি', সন্দীপ-অভিজিৎকে ফের ৩ দিনের হেফাজতে চেয়ে আবেদন সিবিআইয়ের। 'অভিজিৎ মণ্ডল তদন্তের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন না, গাইডিং অফিসার ছিলেন, অফিসিয়াল কাজ করেছেন', পাল্টা সওয়াল ধৃত টালা থানার ওসির আইনজীবীর। 'খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত, সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে এমন কোনও প্রমাণ পেয়েছেন? সেটা যদি হয়ে থাকে, তাহলে সেটা খুবই গুরুতর', সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার ও আইনজীবীর উদ্দেশে মন্তব্য বিচারকের।
আরও পড়ুন, 'এখনও হাসপাতালে ঘুরছে সেই ব্যক্তিরা, ভয়ের পরিবেশে কীভাবে কাজে যোগ?' সুপ্রিম-আর্জি জুনিয়র ডাক্তারদের
এদিকে, সন্দীপ-অভিজিৎকে শিয়ালদা কোর্টে পেশের সময় ফের বিক্ষোভ। 'কয়েদিদের গাড়িতে নিয়ে আসা উচিত, এসি গাড়িতে কেন?' শিয়ালদা কোর্টের সামনে প্রশ্ন বিক্ষোভকারীদের। টালা থানার ওসি-র পর এবার অ্যাডিশনাল ওসি-কে তলব সিবিআই-এর। টালা থানার অ্যাডিশনাল ওসি পল্লব বিশ্বাসকে সিবিআই তলব। আইনজীবীকে নিয়ে সিজিও-তে গেলেন টালা থানার অ্যাডিশনাল ওসি।
অন্যদিকে, আর জি কর-কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত গণধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি, শিয়ালদা কোর্টে জানাল সিবিআই। 'এখনও পর্যন্ত একজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে, গণধর্ষণের কোনও তথ্য মেলেনি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে