কলকাতা: আরজিকর কাণ্ডে হাইকোর্টের নির্দেশে ইতিমধ্যেই মামলার হস্তান্তর হয়ে গিয়েছে সিবিআই এর হাতে। আর জি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায় আজ ফের নিয়ে যাওয়া হয় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। স্বাস্থ্য পরীক্ষা না হওয়ায় তাঁকে আবার ফিরিয়ে আনা হয় সিজিও কমপ্লেক্সে।


খাতায়-কলমে কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার হলেও সঞ্জয় রায়ের প্রভাব ছিল বিস্তর। সিভিক ভলান্টিয়ার পদে থাকলেও সঞ্জয় থাকত পুলিশের ব্যারাকে। পুলিশের টহলদারি মোটরবাইকও নিজের নামে বরাদ্দ করিয়ে নিয়েছিল। যা ব্য়বহার করতো ইচ্ছেমতো! সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে তাঁর শাশুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও, সিভিক পদে বহাল ছিল সে। আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ, খুনে ধৃত। সঞ্জয় রায় পেশায় কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলেন্টিয়ার।  তবে অভিযোগ উঠছে, নামে সিভিক ভলেন্টিয়ার হলেও, সঞ্জয়ের দাপট পুলিশের থেকে কোনও অংশে কম ছিল না। পুলিশের টহলদারি মোটরবাইক সে নিজের নামে বরাদ্দ করিয়ে নিয়েছিল। তা নিয়েই দাপিয়ে বেড়াত এলাকায়। এমনকী থানায় জমা না দিয়ে মাঝেমধ্যেই নিজের কাছেই সেই বাইক রেখে দিত সঞ্জয়। 


আরও পড়ুন, RG Kar- এর প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে এবার CGO-তে নিয়ে এল CBI


শুধু পুলিশে বাইকে চড়ে ঘুরে বেড়ানোই নয়। সিভিক ভলেন্টিয়ার হয়েও, আরজি করকাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় থাকত সশস্ত্র পুলিশের ব্য়ারাকে। চড়ত পুলিশের বাইক, থাকত পুলিশের ব্য়ারাকে সিভিক হয়েও কীকরে এই দাপট ধৃত সঞ্জয়ের? রাজ্যে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বিজ্ঞপ্তি বেরনোর পর অফলাইনে আবেদন জমা দেন চাকরিপ্রার্থীরা। তারপর সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগের ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য কমিটি গঠন করা হয়। সেই বিশেষজ্ঞ কমিটি আবেদনকারীদের ইন্টারভিউ নেয়। সফল হলে মেলে চাকরি। নিয়ম অনুযায়ী, ফৌজদারি মামলা থাকলে, সেই প্রার্থী সিভিক ভলেন্টিয়ারের চাকরি পান না। আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজে চিকিৎসকের ধর্ষণ, খুনের ঘটনায় সঞ্জয় গ্রেফতার হওয়ার পর, তার বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ সামনে এসেছে। এরপরও সঞ্জয় রায় সিভিক ভলেন্টিয়ারের চাকরি পেল কীকরে? তাহলে কি তার বিশেষ কোনও প্রভাব ছিল? তা থাকলে পুলিশ এখন তার বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে তো?এখানেই প্রশ্ন উঠছে।



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।