কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে সাংবাদিকদের মুখোমুখী ডিসি সেন্ট্রাল। গত সোমবার প্রকাশ্যে আসে একটি ভাইরাল ভিডিও। যা মূলত RG Kar মেডিক্য়াল কলেজের সেমিনার হলের। মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের পরে ভিডিও-তে দেখা যায় যে প্রচুর মানুষ সেখানে উপস্থিত। আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, এতজন সেখানে কী করছিলেন? এতজন 'বহিরাগতর ' যাতায়াতের ফলে তথ্য় প্রমাণ নষ্ট হয়নি তো? আর আজ এনিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখী কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্য়ায়। তাঁর কথা অনুযায়ী উপস্থিত প্রত্যেকেই কি তাহলে কর্তব্য পুলিশ কর্মী অফিসার ?
দেহ উদ্ধারের দিন সেমিনার হলে দেহের কাছে কারা ? ফের প্রশ্নের মুখে ভাইরাল হওয়া সেই বিতর্কিত সেমিনারের ছবি। এদিন ডিসি সেন্ট্রাল বলেন, ওই স্থানে প্রচুর লোক উপস্থিত ছিলেন। এই প্রশ্নটা করা হয়েছে, এত লোক কী করে ঘটনাস্থলে ছিলেন ? সেটা নিয়ে আমি কিছু তথ্য আপনাদের শেয়ার করতে চাই। যেই ছবিটা আমরা দেখেছি, তার একটা প্রিন্ট আউট আমি নিয়েছি। এরপরেই ডিসি সেন্ট্রাল ছবিেত ঢাকা একটি অংশ দেখিয়ে বলেন, এর পিছনেই কিন্তু মৃতদেহ আছে। ছবিতে ব্লু চেক শার্ট পরে যিনি আছেন তিনি আমাদের ওসি, হোমিসাইড। এরপর একে একে ছবিতে যারা রয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের নাম উল্লেখ করেন তিনি।
সাত দিনে দ্বিতীয়বার। ধর্ষণ বিরোধী কড়া আইন তৈরির আর্জি জানিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির সংস্থান-সহ আইন তৈরি ছাড়াও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চার্জ গঠন করে ট্রায়াল শুরুর কথাও বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে, বিধানসভায় কড়া ধর্ষণ-বিরোধী আইন আনার কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, আমি আগামী সপ্তাহে বিধানসভার অধিবেশন ডাকব, বিধানসভায় স্পিকারকে বলে এবং আমরা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা থেকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে, ফাঁসি, ধর্ষকের ফাঁসি চাই এই বিল আমরা পাস করে রাজ্যপালের কাছে পাঠাব।'
আরও পড়ুন, রাজনীতিতে যে যায় লঙ্কায়, সেই হয় রাবণ, RG কর কাণ্ডের পর বিস্ফোরক পরমব্রত
এর আগে ২২ অগাস্ট, এই ইস্য়ুতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। সেখানে তিনি দাবি করেছিলেন, 'দেশে রোজ প্রায় ৯০ টি এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। এই পরিসংখ্যান যথেষ্ট উদ্বেগজনক। এসব ঘটনাকে চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করা দরকার। আমার প্রস্তাব, দেশের প্রতিটি জায়গায় ফাস্ট ট্র্যাক স্পেশাল কোর্ট তৈরি করা হোক। তার মাধ্যমে ১৫ দিনের মধ্যে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি ত্বরান্বিত হোক। '
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।