কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, সৌভিক মজুমদার,কলকাতা: আর জি কর কাণ্ডে বিচার চেয়ে গান গেয়েছেন অরিজিৎ সিংহ। আর তা নিয়ে এবার সঙ্গীতশিল্পীকে আক্রমণ শানালেন কুণাল ঘোষ। তিনি লিখেছেন, বিবেক জাগে শুধু বাংলায়। মহারাষ্ট্রের বদলাপুর নিয়ে গান হয় না। কারণ ওটা কর্মক্ষেত্র, কাজ, টাকা, কেরিয়ার, তাই চুপ? কুণালের এই মন্তব্য়ের তীব্র নিন্দা করেছেন পরমব্রত থেকে রুদ্রনীল। ঠাকুর ঘরে, কে, আমি তো কলা খাইনি, এই বিতর্কের মধ্য়েই সোশ্য়াল মিডিয়ায় পোস্ট অরিজিতের। 


আর জি কর কাণ্ড নিয়ে শুরু থেকেই সরব সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিং। তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় বিচার চেয়েছেন। তাই নিয়ে গান বেঁধেছেন। এবার সেই অরিজিৎ সিংহকে সরাসরি আক্রমণ করলেন কুণাল ঘোষ। সোশ্য়াল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, অরিজিৎ সিং অপূর্ব গায়ক। ছেলেটিও ভাল। তিলোত্তমার ন্যায়বিচার চেয়ে গানটি যথাযথ, সমর্থন করি।কিন্তু সমস্যা হল বিবেক জাগে শুধু বাংলায়।মহারাষ্ট্রের বদলাপুর নিয়ে হিন্দিতে গান হয় না। বা সাক্ষী মালিকদের নিয়ে।কারণ ওটা মূল কর্মক্ষেত্র, হিন্দিজগত, কাজ, টাকা, কেরিয়ার, তাই চুপ? শুক্রবার কুণাল ঘোষের পোস্টের পর, অরিজিৎ সিংহের পেজে কারও নাম না করেই, দেখা যায় এই পোস্ট। যেখানে লেখা- ঠাকুর ঘরে কে , আমি তো কলা খাইনি। 


আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সম্প্রতি গান গেয়েছেন অরিজিৎ সিংহ। যদিও গায়কের ভাষায়, এই গান ন্যায়বিচারের আর্তনাদ। অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্য়ায় বলেন,প্রথম কথা বলি, অরিজিৎ যে মার্গের একজন শিল্পী, সেই মার্গের একজন শিল্পীকে নিয়ে কোনও রাজনৈতিক দলের কেউ কথা বলতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি না। এটা যেই কথা বলুক না কেন, তার ধৃষ্টতা এটা। প্রথম কথা হচ্ছে এটা। কুণাল বাবু কেন, কারও মুখ থেকে কোনওরকম কথা শুনব না অরিজিতের সম্বন্ধে। ভুলটা আগে স্বীকার করুন।অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ বলেন,আমাদের সবার ভালবাসার অরিজিৎ সিংহ, তিনি তাঁকেও গালমন্দ করছেন এককথায় ঘুরিয়ে।


আরও পড়ুন, আগামীকাল থেকে 'টেলি-মেডিসিন' পরিষেবা মিলবে এই নাম্বারে, বড় ঘোষণা জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের 


শুক্রবার  ‘দ্য ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ নামে একটি ছবি প্রসঙ্গে টালিগঞ্জের শিল্পীদের আক্রমণ করেন কুণাল ঘোষ। সেখানে তিনি লেখেন, দিদির পাশে ছবি দিয়ে গুরুত্ব বাড়ান, কিন্তু, মমতাদির বায়োপিক বা তৃণমূলের পক্ষে বার্তা যেতে পারে, এমন কোনও সিনেমার কথা তাঁরা ভাবেন না।বরং টেকনিশিয়ানরা অনেক বেশি দরদী। এঁরা অনেক বড় নাম হতে পারেন, কিন্তু, এঁদের অনেকেই দলের বোঝা। দলের সুসময়ে এঁরা হাত নেড়ে সামনে থাকেন। একটু বিতর্কিত ইস্য়ুতে দল পড়লেই এঁরা মুখ খোলা বন্ধ করেন।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।