নয়া দিল্লি: আর জি কর মামলায় (RG Kar Case) এদিন সকলের নজর ছিল সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দিকেই। চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের মামলায় এদিন স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাজ্য। পাশাপাশি মুখ বন্ধ খামে এদিন রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই এর সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা এবং রাজ্যের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বলের সওয়াল-জবাব শেষে আগামী মঙ্গলবার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। পরবর্তী স্টেটাস রিপোর্ট দিতে হবে সিবিআইকে, এমনটাই জানান হয়েছে।
এদিন আর জি কর মামলার শুনানি শুরু হয় তিন বিচারপতির বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতির জেবি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ময়নাতদন্তের গতি প্রকৃতি- সব বিষয় নিয়েই সুপ্রিম কোর্টে এদিন সওয়াল জবাব চলে।
সিবিআই-এর তদন্তের রিপোর্ট দেখার পরই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের তরফে জিজ্ঞেস করা হয় হাসপাতাল থেকে তৎকালীন অধ্যক্ষর (সন্দীপ ঘোষের) বাড়ির দূরত্ব কত? সার্চ এবং সিজার কখন হয়? কখন হয় জেনারেল ডায়রি? সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ সিবিআই কে দেওয়া হয়েছে?
রাজ্যের তরফে বলা হয়, 'রাত সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে ১১টার মধ্যে, আগেই ছবি তোলা হয়েছিল, ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠাবার পর এটা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ পুরোটা দেওয়া হয়েছে, তবে তাতে টেকনিক্যাল গ্লিচ ছিল। তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের ২৭ মিনিটের ফুটেজ দেওয়া হয়েছে।'
প্রশ্ন ওঠে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট নিয়েও। এদিন সলিসিটার জেনারেল জানান, রাজ্য নমুনা সংগ্রহ করে কলকাতা CFSL কে পাঠিয়েছিল। সিবিআই সিদ্ধান্ত নিয়েছে AIIMS এবং অন্য ফরেন্সিককে পাঠানোর। কে নমুনা সংগ্রহ করেছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ, সওয়াল সিবিআই-এর।
নিহত তরুণীর পোশাক কি ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক তদন্তকারী আধিকারিককে পাঠিয়েছিলেন? আদালতে প্রশ্ন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজির। 'দেহ থেকে সংগৃহীত নমুনা ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। সেটা না করলে নষ্ট হয়ে যায়, চিকিৎসকরা কি সেটা করেছিলেন?' সওয়াল আইনজীবী ফিরোজ এডুলজির।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে