RG Kar Women's Protest Live Updates: রাজ্য জুড়ে তোলপাড়ের মধ্যেই আর জি করে সিবিআই, সকাল ৬টা থেকে ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্ধের ডাক SUCI-এর
RG Kar Doctors Death Women Protest Live: শান্তিপূর্ণ সেই আন্দোলনের মধ্যেই অশান্ত হয়ে উঠল আর জি কর মেডিক্যাল হাসপাতাল। ৩০-৩৫ জন দুষ্কৃতী মিশে তাণ্ডব চালাল হাসপাতালে।
আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে কাল ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্ধ-এর ডাক দিল SUCI। সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত বন্ধ-এর ডাক।
কাল সকাল ৬টা থেকে ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্ধের ডাক দিল SUCI। দফা এক, দাবি এক, সবাইকে বলব কাল স্তব্ধ করে দিন বাংলা', মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে কার্যত SUCI-র ধর্মঘটকে সমর্থন শুভেন্দুর
চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের পরে হাসপাতালে তাণ্ডব, আন্দোলনে বিরোধীরা। মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফার দাবিতে কাল দুপুরে বিজেপির ২ ঘণ্টার 'রাস্তা রোকো'। কাল দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে অবরোধের ডাক । বিকেলে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি পর্যন্ত বিজেপির মহিলা মোর্চার মোমবাতি মিছিল। আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্ধের ডাক দিল SUCI।
মধ্যরাতে শান্তিপূর্ণ মিছিল, আর জি কর মেডিক্যালে দুষ্কৃতী তাণ্ডব। ২২ ঘণ্টা পার, থানায় অভিযোগই দায়ের করল না হাসপাতাল। অস্ত্র আইন-সহ একাধিক ধারায় ৩টি FIR দায়ের করল ৩টি থানা। ৩টি FIR দায়ের করল উল্টোডাঙা, শ্যামপুকুর, টালা থানা।
আর জি কর মেডিক্যালে হামলা, কোর্টে IO 'বদল'! 'এক অফিসারের উর্দি পরে কোর্টে হাজির আরেক অফিসার! শিয়ালদা কোর্টে তদন্তকারী অফিসারের পরিচয় নিয়ে তোলপাড়। 'টালা থানার তদন্তকারী অফিসারের ব্যাজ পরে হাজির অন্য অফিসার!' আইওর বদল নিয়ে এমনই দাবি অভিযুক্তদের আইনজীবীর
আর জি কর মেডিক্যালে তাণ্ডব, হস্তক্ষেপ চেয়ে অমিত শাহকে চিঠি সুকান্ত মজুমদারের। বিচার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর। গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিতে অমিত শাহকে চিঠি সুকান্তর। হাসপাতাল ও অন্য সংবেদনশীল এলাকার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আর্জি । দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপের আর্জি কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর
'বেলগাছিয়া থেকে গিয়ে সিপিএম আর জি কর মেডিক্যালে ভাঙচুর চালিয়েছে', দাবি অতীন ঘোষের। 'আমাদের দলের লোকেরা পরে গিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করেছে। সিপিএমের সঙ্গে হামলা চালিয়েছে বিজেপি। আড়িয়াদহ, বরানগর, হাওড়া থেকে বাইকে করে লোক এনেছে বিজেপি। জঘন্যতম চক্রান্ত, আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালিয়ে এখন ধরা পড়বে বলে রাজনৈতিক কুৎসা করছে। সিপিএম-বিজেপি উস্কানি দিয়েছে, টার্গেট ছিল আন্দোলনকারীরা', দাবি অতীন ঘোষের
একা আসতে সমস্যা ছিল, তাই টিম নিয়ে এসেছি। বলেছিলাম একা আসতে সমস্যা আছে, তাই টিম নিয়ে এসেছি। মৃত্যুটা খুবই দুঃখজনক, তারপরেও ঘটেছে, এটা সামাজিক ব্যাধি। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশেও একই ঘটনা ঘটেছে। উন্নাওয়ের মতো জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা একটা অপরাধ, ফাঁসি দিয়ে দাও', মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
একা আসতে সমস্যা ছিল, তাই টিম নিয়ে এসেছি। বলেছিলাম একা আসতে সমস্যা আছে, তাই টিম নিয়ে এসেছি। মৃত্যুটা খুবই দুঃখজনক, তারপরেও ঘটেছে, এটা সামাজিক ব্যাধি। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশেও একই ঘটনা ঘটেছে। উন্নাওয়ের মতো জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা একটা অপরাধ, ফাঁসি দিয়ে দাও', মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
একা আসতে সমস্যা ছিল, তাই টিম নিয়ে এসেছি। বলেছিলাম একা আসতে সমস্যা আছে, তাই টিম নিয়ে এসেছি। মৃত্যুটা খুবই দুঃখজনক, তারপরেও ঘটেছে, এটা সামাজিক ব্যাধি। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশেও একই ঘটনা ঘটেছে। উন্নাওয়ের মতো জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা একটা অপরাধ, ফাঁসি দিয়ে দাও', মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
একা আসতে সমস্যা ছিল, তাই টিম নিয়ে এসেছি। বলেছিলাম একা আসতে সমস্যা আছে, তাই টিম নিয়ে এসেছি। মৃত্যুটা খুবই দুঃখজনক, তারপরেও ঘটেছে, এটা সামাজিক ব্যাধি। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশেও একই ঘটনা ঘটেছে। উন্নাওয়ের মতো জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা একটা অপরাধ, ফাঁসি দিয়ে দাও', মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
'যা তথ্য পেয়েছি, ছাত্র-ছাত্রীদের কোনও দোষ দিচ্ছি না। বহিরাগত কিছু লোক, বাম-রাম এক হয়ে এই গন্ডগোল করেছে। ঘটনাটা দুঃখজনক, আমরা ফাঁসির দাবি করেছিলাম', মন্তব্য মমতার
মধ্যরাতে দুষ্কৃতীদের অবাধ স্বাধীনতা, তছনছ আর জি কর মেডিক্যাল। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে হাসপাতাল দাপিয়ে বেড়াল গুন্ডাবাহিনী, দর্শক পুলিশ। হাসপাতাল প্রায় গুঁড়িয়ে দেওয়ার পরে পুলিশের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের সংঘর্ষ। রড, ইট, কাচের বোতল হাতে গুন্ডাদের হামলা, এখনও গ্রেফতার মাত্র ৯!
আর জি কর কাণ্ডে কাল বাংলা বন্ধ-এর ডাক SUCI-এর। 'কাল সরকারি কর্মচারীদের অফিসে না এলে একদিনের বেতন কাটা যাবে', নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন।
আর জি কর মেডিক্যালে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন। আর জি কর মেডিক্যালে শান্তনুকে আন্দোলনকারীদের গো ব্যাক স্লোগান। 'আজ রাতের মধ্যেই গ্রেফতার করতে হবে হামলাকারীদের', আর জি কর মেডিক্যালে গিয়ে পুলিশকে ডেডলাইন শান্তনু সেনের। সিবিআইয়ের কাছে সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করার দাবি।
দুষ্কৃতী তাণ্ডবে লন্ডভন্ড আর জি কর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে চিঠি শুভেন্দুর। আর জি কর মেডিক্যালে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। হাসপাতালে ঢুকে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগে সিবিআইকেও চিঠি। তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চলছে, আটকাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি।
মধ্যরাতে তাণ্ডব দুষ্কৃতীদের। আরজি করে অধ্যক্ষকে ঘিরে বিক্ষোভ। বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়া চিকিৎসকরা। কর্মস্থলে নিরাপত্তা চেয়ে বিক্ষোভ নার্সদের।
আর জি কর মেডিক্যালে তাণ্ডব, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে বিজেপি। কাল থেকে আর জি কর মেডিক্যালের সামনে বিজেপির ধর্না কর্মসূচির ঘোষণা। কাল দুপুর ২টো থেকে ৪টে পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে প্রতীকী অবরোধ, কর্মবিরতির ডাক বিজেপির। বিকেলে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি পর্যন্ত মোমবাতি মিছিল করবে মহিলা মোর্চা, ঘোষণা সুকান্ত মজুমদারের।
আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল দেশ। সেই আবহেই শান্তিপূর্ণ মিছিল চলাকালীন হামলা চলল হাসপাতালে। সেই নিয়ে এবার আন্দোলনে নামছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে একটানা আন্দোলন চালাবে গেরুয়া শিবির। ঘোষণা করলেন রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। (West Bengal BJP)
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামার কথা জানান সুকান্ত। তিনি জানিয়েছেন, শুক্রবার দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে অবরোধ চলবে। গোটা রাজ্যে কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে। বিকেলে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি পর্যন্ত মোমবাতি মিছিল করবে বিজেপি-র মহিলা মোর্চা। (Sukanta Majumdar)
গতকাল রাতে যেই সময় তাণ্ডব চালানো হয় আর জি কর মেডিক্যালে, তখন জরুরি বিভাগের উল্টোদিকেই ছিলেন রোগীদের পরিবারের সদস্যরা। প্রাণ ভয়ে পালিয়েছিলেন তাঁরাও। ভয়াবহ সেই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন আমাদের প্রতিনিধি অনির্বাণ বিশ্বাসকে।
ইমার্জেন্সি বিভাগ পরিদর্শন রাজ্যপালের। গতকাল এই জরুরি বিভাগই ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় শতাধিক দুষ্কৃতী।
'আপনার সুবিচার পাবেন', আশ্বাস রাজ্যপালের। রাজ্যপালকে সামনে পেয়ে একযোগে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের।
আরজি কর হাসপাতালে রাজ্যপাল। আন্দোলনকারী পড়ুয়া চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা সিভি আনন্দ বোসের।
তৃণমূলের মুখপাত্র পদ থেকে অপসারিত প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেন। আর জি কর কাণ্ড নিয়ে সরব হওয়ার কারণেই কি কোপের মুখে শান্তনু ?
আগেই অপসারণ করা হয়েছে শান্তনুকে, দাবি জয়প্রকাশ মজুমদারের। গতকালই বেহালায় প্রাক স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে ইঙ্গিত দেন তৃণমূল নেত্রী। 'আর জি কর কাণ্ডে চক্রান্তে যাঁরা ছিল, তাঁদের রেয়াত করিনি।' গতকাল মন্তব্য করেন তৃণমূল নেত্রী।
'পুলিশ আমাদের কী সুরক্ষা দেবে, ওরা নিজেরাই ভয়ে পালাচ্ছে।' বলছেন আরজি করের নার্সরা।
আরজি কর মেডিক্যালে ধ্বংসলীলা দুষ্কৃতীদের। পুলিশের গার্ডরেল দিয়ে কোলাপসিবল গেট ভেঙে দেয় তারা। তিনতলায় কব্জা ভেঙে উপড়ে ফেলা হয় তদন্তকারী সংস্থার সিল করা দরজা। চারলতার সেমিনার হলেও ভাঙচুরের পরিকল্পনা ছিল দুষ্কৃতীদের। কিন্তু দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেওয়ায় রক্ষা পায় সেমিনার হল । পুলিশের সামনেই চলে গুন্ডাগিরি। ইটের ঘায়ে রক্ত ঝরে পুলিশের, মাথা ফেটে যায় মানিকতলা থানার ওসি দেবাশিস দত্তর। গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্ত। জানিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। আরজি করের পুলিশ ফাঁড়ি, ব্যারাক, ওসির ঘরে তাণ্ডব। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় সিসি ক্যামেরার সার্ভার রুম। হামলা থেকে বাঁচতে গাইনি ওয়ার্ড ও লিফটে লুকোতে হল পুলিশকে। ঘটনার পর নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন নার্সিং কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে তাণ্ডবকারীদের ছবি প্রকাশ করে তাদের সন্ধান করছে কলকাতা পুলিশ । বেশ কয়েকজনের ছবি দিয়ে তাদের পরিচয় জানা থাকলে পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে। সরাসরি বা সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে জানাতে বলা হয়েছে।
আরজি কর মেডিক্যালে তাণ্ডব, পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের ফোন সিবিআইয়ের। যে স্থানে মহিলা ডাক্তারকে অত্যাচার করে খুন, সেখানে কি ঢুকতে পেরেছিল দুর্বৃত্তরা ? পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের ফোন করে জানতে চায় সিবিআই, খবর সিবিআই সূত্রের। সেমিনারে হলে ঢুকতে পারেনি, জানিয়েছে পুলিশ
সংবাদ মাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে দিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। পুলিশ কমিশনার বলেন, "কলকাতা পুলিশ কী করেনি ? এই মামলায় সবকিছু করা হয়েছে। প্রমাণ সংগ্রহ করতে আমার কর্মীরা দিনরাত কাজ করেছেন। মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা পরিবারকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করেছি। গুজব ছড়ানো হয়েছে যে, কোনও রাজনৈতিক মহাপাত্র এর সঙ্গে জড়িত। তিনি একজন ইন্টার্ন। যার বাবা-মা বিষয়টি ভেরিফাই করেছেন। ছোট জায়গা থেকে এসেছেন। ওঁর বাবা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। কোনও রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড নেই তাঁদের। কেউ কেউ বলছেন, তিনি ওর বন্ধু। এটা দুর্ভাগ্যজনক। যা ঘটেছে তাতে আমি প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। আমরা কোনও ভুল করিনি। আমরা কখনো বলিনি যে একজন ব্যক্তি যুক্ত আছেন। আমরা বলেছি, আমরা বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণের অপেক্ষায় আছি। সেটা সময় লাগে। অভিযুক্ত একই কথা বলে যাচ্ছেন। আমাদের কিছু সাপোর্ট করার নেই। কোনও গুজবের ওপর ভর করে কোনও পিজি ছাত্রকে গ্রেফতার করতে পারি না। আমি এটা করতে পারি না। এটা আমার বিবেক বিরুদ্ধে। আমি একটা বিষয় পরিষ্কার, যেটা ঠিক সেটাই আমরা করেছি। এবার সিবিআই তদন্ত করছে। ওরাও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করবে। আমরা সিবিআইকে সবরকম সাহায্য করব। আমরা পরিবারের সঙ্গে স্বচ্ছ থেকেছি। প্রত্যেকের সঙ্গে স্বচ্ছ থেকেছি। আমরা ছাত্রদের বলেছিলাম, আপনারা একটি কমিটি গড়ুন। যেটা আপনাদের সন্দেহ তা আমরা পরিষ্কার করব। মিথ্যা অপ্রপ্রচার চলছে অনেক। হাড় ভাঙা হয়েছে। এটা করা হয়েছে। দুর্ভাগ্যক্রমে তার বিজ্ঞানসম্মত ভিত্তি নেই। এটা খুব দুর্ভাগ্যের বিষয়। আমরা কলকাতার মানুষের সঙ্গে আছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, এই ঘটনাটা ঘটা উচিত ছিল না। অন্তর থেকে বলছি, আমরা কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করিনি। সিবিআই যদি সেটা প্রমাণ করতে পারে...। আমরা দায়িত্বশীল বাহিনী। এভাবে আমরা প্রমাণ নষ্ট করতে পারি না।"
গতকাল আর জি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ আইনজীবী সৌম্যশুভ্র রায়ের। ই-মেল মারফত দাখিল করা হল আবেদন।
মাত্র ৪০ মিনিটের হামলা। আর তাতেই কার্যত ধ্বংসস্তূপ আর জি কর হাসপাতালের এমারজেন্সি বিভাগ এবং আশপাশের আরও কিছু পরিকাঠামো। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে এই হাসপাতালে এখন কোনও রোগীকে আপৎকালীন পরিষেবা দেওয়ার মতো পরিস্থিতি আর নেই। যা পরিস্থিতি হয়ে রয়েছে তাতে এই ভাঙাচোরা অবস্থায় এমারজেন্সি পরিষেবা কোনওভাবেই দেওয়া যাবে না বলে জানাচ্ছেন হাসপাতালে চিকিৎসক-স্বাস্থ্য়কর্মীরা।
'পুলিশ লুকিয়ে যায়, আমাদের সামনেই বাথরুমে ঢুকে পড়ে', সুর চড়ালেন আন্দোলনকারী মহিলারা।
"আরজি কর মেডিক্যালে যে ছাত্র আন্দোলন চলছিল তাতে আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি ছিল, মহিলাদের প্রতিবাদ মিছিল করার। হাতে মোমবাতি ও তেরঙ্গা নিয়ে। আমাদের শ্য়ামবাজারের দিকে যাওয়ার কথা ছিল। ঠিক সেই মুহূ্র্তে হঠাৎ একদল এসে হামলা করে, ব্যারিকেড ভেঙে দেয়। ধর্নামঞ্চ থেকে শুরু করে সমস্ত জায়গায় ভাঙচুর চালানো হয়। এর ফলে ধর্নামঞ্চ ভেঙে যায়। বিভিন্ন জায়গায় তছনছ হয়ে যায়। আমরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যাই।" মন্তব্য আর জি কর মেডিক্যালের চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোর।
মধ্যরাতে রণক্ষেত্র আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ। পুলিশের সামনেই ব্যারিকেড ভেঙে ভাঙচুর চালানো হল হাসপাতালে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, প্রতিবাদ থেকে নজর ঘোরাতেই কি ময়দানে নামানো হল দুষ্কৃতীদের? শুরুতেই কেন ভাঙচুর আটকাল না পুলিশ?
গতকাল রাতে আরজি কর হাসপাতালের এমার্জেন্সি ওয়ার্ড থেকে ধ্বংসলীলা চালাতে চালাতে ভিতরে ঢোকা হয়েছে। বেশ খরচ সাপেক্ষে তৈরি করা সিসি ওয়ার্ডেও তাণ্ডবলীলা চালায় দুষ্কৃতীরা। অন্য সময় এখানে রোগী ভর্তি থাকে, কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের জেরে এখন কোনও রোগী না থাকলেও, এই ওয়ার্ডে কাঁচ, ওষুধের স্টোর থেকে শুরু করে আলমারি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তছনছের তালিকায় রয়েছে দামি দামি মেডিক্যাল সরঞ্জামও। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, গতকাল সোয়া ১২টা থেকে শুরু হওয়া এই তাণ্ডবলীলা গোটা এমার্জেন্সি ওয়ার্ডজুড়ে চালানো হয়েছে।
আর জি করে তরণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় ফুঁসছে গোটা রাজ্য। কলকাতা থেকে বিভিন্ন জেলায় প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। স্বাধীনতার মধ্যরাতে 'রাত দখলে মেয়েরা' নেমে এলেন রাস্তায়। এ রাজ্যের পাশাপাশি, দিল্লি, মুম্বই, পুণেতেও হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। সেই আবহেই এবিপি আনন্দে মুখ খুললেন নির্যাতিতার বাবা। এত মানুষের রাস্তায় নেমে আসা নিয়ে জানালেন প্রতিক্রিয়া।
দলে দলে মানুষ রাস্তায় নেমে আসা নিয়ে এবিপি আনন্দে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, "সবাইকে একটাই কথা বলতে চাই, একটা মেয়েকে হারিয়ে কোটি কোটি মেয়েকে পাশে পেয়েছি। এই কোটি কোটি মেয়ে, আজ বলে নয়, আমার তো মনে হচ্ছে, ন্যায় বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমার পাশে থাকবেন। এঁরা সবাই আমার মেয়ের মতো। যে পুরুষরা রাস্তায় নেমেছিলেন, তাঁরা আমার ছেলের মতো।"
মধ্যরাতে রণক্ষেত্র আর জি কর মেডিক্যাল। পুলিশের সামনেই ব্যারিকেড ভেঙে হাসপাতালে ভাঙচুর! জরুরি বিভাগে তাণ্ডব, ইটবৃষ্টি। উল্টে দেওয়া হল গাড়ি।
প্রেক্ষাপট
কর্মস্থলে ধর্ষণ, খুন নৃশংস, জঘন্য এই অপরাধের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে গোটা দেশ। দোষীদের কঠিন-কঠোর শাস্তির দাবি উঠেছে সর্বত্র। এই ইস্য়ুতে এবার, প্রাক-স্বাধীনতার মধ্য়রাতে, বিশাল অরাজনৈতিক জমায়েতের ডাক। স্বাধীনতার মধ্যরাতে নারী স্বাধীনতার জন্য লড়াই। কারও হাতে মশাল। কারও আবার হাতে প্ল্যাকার্ড। কেউ নেন ব্যানার। কেউ শাঁখ বাজান। কেউ বা জ্বালান মোবাইলের ফ্ল্যাশ। শ্রাবণের রাতে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে পথে নামেন তাঁরা। নিউটাউন থেকে যাদবপুর, কলেজ স্ট্রিট থেকে রুবি, শহরজুড়ে প্রতিবাদের গর্জন। একটাই স্লোগান 'We Want Justice।'
কথা ছিল, RG কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) মহিলা চিকিৎসকের নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ মিছিল, জমায়েত হবে। স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে, ঠিক ১১.৫৫ মিনিটে। স্লোগান তোলা হয়েছিল, মেয়েরা রাত দখল করো। শুধু বাংলায় নয়, গোটা দেশে, এমনকী দেশের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছিল শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের রেশ। শঙ্খধ্বনি, মোমবাতি মিছিল, প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, হোর্ডিং - সব মিলিয়ে রাতের দখল সত্যিই নিয়েছিল আমজনতা।
তবে শান্তিপূর্ণ সেই আন্দোলনের মধ্যেই অশান্ত হয়ে উঠল আর জি কর মেডিক্যাল হাসপাতাল। ৩০-৩৫ জন দুষ্কৃতী মিশে তাণ্ডব চালাল হাসপাতালে। ভাঙা হল চেয়ার, আন্দোলনকারীদের মঞ্চ, জরুরি বিভাগের সরঞ্জাম। প্রায় মিনিট ২০ ধরে চলল তাণ্ডব। পুলিশ ও ব়্যাফ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাবে পালিয়ে বাঁচল। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হল। পরে হামলাকারীদের ঠেকাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ল পুলিশ। করা হল লাঠিচার্জ। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে বাঁধল খণ্ডযুদ্ধ। পুলিশকে লক্ষ্য করে চলল ইটবৃষ্টি।
আর এই পরিস্থিতিতে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। অভিষেক গভীর রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, 'আর জি কর হাসপাতালে গুণ্ডামি ও ভাঙচুর সব সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে। জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমি কলকাতা পুলিশ কমিশানারের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁকে বলেছি, এই হিংসার নেপথ্যে থাকা প্রত্যেককে চিহ্নিত করতে হবে। যারা দায়ী, প্রত্যেককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় আনতে হবে। তারা রাজনৈতিকভাবে যে দলেরই সমর্থক হোক না কেন। প্রতিবাদী চিকিৎসকদের দাবি যুক্তিসঙ্গত। সরকারের থেকে অন্তত এটা তাঁরা আশা করতেই পারেন। তাঁদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সর্বাধিকার পাওয়া উচিত।'
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -