কলকাতা : আর জি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে পড়ুয়া আন্দোলনের চাপে ইস্তফা দিলেন হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।  পদত্যাগের কথা জানিয়ে তিনি বললেন, কারও চাপে নয়, তিনি স্বচ্ছেয় পদত্যাগ করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক খেলা চলছে। তিনি আরও বলেন, পড়ুয়ারা এটাই চেয়েছিলেন। তাই তিনি এটা করলেন। এবার হয়ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, জুনিয়র চিকিৎসকরা কাজে যোগ দেবেন। 


সন্দীপ ঘোষ বলেন, 'পড়ুয়ারা এটাই চেয়েছিলেন যে আমি পদত্যাগ করি। মানুষও এটাই চেয়েছিলেন। আসলে আমার বিরুদ্ধে একটা রাজনৈতিক খেলা চলছে। ' সন্দীপের দাবি, তাঁর মুখে কথা বসিয়ে রাজনৈতিক খেলা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে পোস্ট করা হয়েছে। 


সাংবাদিকদের সামনে  অধ্যক্ষ বলেন, অনেকেই বলছেন আমি সরকারের পক্ষে কথা বলছি। হ্যাঁ আমি সরকারি কর্মচারী। সরকারের দায়িত্ব আমি শেষ মুহূর্ত অবধি পালন করব, যতক্ষণ আমার প্রাণ থাকবে। 


এদিকে বিক্ষোভকারীদের দাবি, মুখের কথায় বিশ্বাস করি না, লিখিত আকারে পদত্যাগপত্র চাই। যা ঘটেছে তার দায় কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে, দাবি আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের।   


পড়ুয়া-চিকিৎসকদের দাবি, কর্মবিরতির ৭০ ঘণ্টা পার, এখনও কেউ তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে আসেনি। পুলিশ কমিশনারও বলতে পারেননি, খুনের ঘটনায় ধৃত একাই জড়িত কি না। হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্তারা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন পড়ুয়া-চিকিৎসকরা।


আগেই দাবি জানিয়েছিলেন পড়ুয়ারা 


আর জি করের ঘটনার পর থেকেই অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করে আসছেন ছাত্র - ছাত্রীরা। অত রাত্রে সেমিনার হলে চিকিৎসক কী করছিলেন , এই প্রশ্ন অধ্যক্ষ কীভাবে করেন, তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।  X হ্যান্ডেলে আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষকে সাসপেন্ড ও অপসারণের দাবি জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। পাশাপাশি, আদালতের নজরদারিতে সিবিআই তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,  আরজি করের প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষকে স্ক্যানারে রাখা উচিত। ২ বার অপসারণের পর ফের আরজি করের প্রিন্সিপাল হয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। অত্যন্ত প্রভাবশালী আরজি করের প্রিন্সিপাল।


আরও পড়ুন

RG কর কাণ্ডে জড়িত বড় মাথা? সঞ্জয়ের সঙ্গে আর কে কে ? ভাইরাল অডিও-য় খুলে গেল বড় সত্যি?  

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।