কলকাতা: আরজি করের চিকিৎসককে সম্ভবত খুনের পর ধর্ষণ করা হয়। এমনটাই দাবি করছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ঘুমের মধ্যে প্রথমে খুন করা হয়ে থাকতে পারে আর জি করের মহিলা চিকিৎসককে। মৃত্যুর পর সম্ভবত ধর্ষণ করা হয় তাঁকে। পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরই সম্ভবত চিকিৎসককে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত। এখনও পর্যন্ত সঞ্জয় রায় ছাড়া এই ঘটনায় আর কারও যোগ মেলেনি, দাবি পুলিশের। (RG Kar Medical Student Death)
হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। সব খতিয়ে দেখে তাঁকে খুন করে তার পর ধর্ষণ করা হয় বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা এখনও পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দেননি পুলিশকে। কিন্তু পারিপার্শ্বিক ভাবে যে তথ্য মিলেছে, তাতে খুন করে ধর্ষণের ইঙ্গি মিলছে বলে জানা গিয়েছে। (Medical Student Death)
লালবাজার সূত্রে খবর, দু’মাস আগে RG কর মেডিক্যালের ইমার্জেন্সির দোতলায় গন্ডগোলে নাম জড়ায় সঞ্জয়ের। অভিযুক্ত মহিলা চিকিৎসককে তিনি চিনতেন। কলকাতা পুলিশের দাবি, RG করে কোনও ডিউটি দেওয়া হয়নি সঞ্জয়কে। পুলিশের একটি সংগঠনের তরফে তিনি RG কর মেডিক্যাল ও NRS হাসপাতালে পুলিশের পরিবারের রোগীদের দেখভাল করতেন। সেই সূত্রেই হাসপাতালে যাতায়াত ছিল।
আরজি করে মহিলা চিকিৎসক খুনে গ্রেফতার সঞ্জয় সিভিক ভলান্টিয়ার। আপাতত ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন তিনি। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার ইয়ার ফোনের সূত্র ধরে গ্রেফতার হন তিনি। সিসিটিভি-তে দেখা যায় গলায় ইয়ার ফোন ঝুলিয়ে সেমিনার রুমে ঢুকছেন সঞ্জয়। ৩০ মিনিট পর সেমিনার রুম থেকে ইয়ার ফোন ছাড়াই বেরোন তিনি। অনলাইনে আনানো খাবার খেয়ে বিশ্রাম নিতে যান গিয়েছিলেন ওই তরুণী চিকিৎসক। ওই সময় সিসিটিভি-তে ৪ জনের গতিবিধি ধরা পড়ে। সবাইকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় সঞ্জয়ের কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে।
২০১৯ থেকে কলকাতা পুলিশের ডিএমজিতে কর্মরত সঞ্জয়। মহিলা পুলিশকর্মীদেরও ফোন করে উত্যক্ত করার অভিযোগ সামেন এসেছে তাঁর বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, নিয়ম ভেঙে ফোর্থ ব্যাটেলিয়নের ব্যারাকে থাকছিলেন তিনি। ক্রমশ পুলিশের একটি সংগঠনে প্রভাবশালী হয়ে উঠেছিলেন সঞ্জয়। ভবানীপুরে বাড়ি হলেও থাকত উল্টোডাঙায় পুলিশ ব্যারাকে থাকতেন। তিনি নিয়মিত ডিউটিতেও যেত না বলেও অভিযোগ।