ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা:  ফের আর জি কর মেডিক্যালে সিবিআই। এবার আর জি কর মেডিক্যালের পুলিশ মর্গে গেল সিবিআই। দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে মর্গে হানা সিবিআইয়ের। আর জি করে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করেন প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। সেই মামলার তদন্তে আর জি কর মেডিক্যালের মর্গে সিবিআই।

  


প্রসঙ্গত, আর জি কর হাসপাতালে আর্থিক অনিয়ম নিয়ে প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলির করা ১৫টি অভিযোগ খতিয়ে দেখছে সিবিআই। এর মধ্যে রয়েছে, সরকারি অর্থের অপচয়ের অভিযোগ। 
স্বাস্থ্য ভবন এবং কলেজ কাউন্সিলের অনুমতি ছাড়া সরকারি সম্পত্তি বিভিন্ন ব্যক্তি বা সংগঠনকে দেওয়ার অভিযোগ।  খাবারের স্টল, ক্যাফে, ক্যান্টিন, সুলভ কমপ্লেক্সের মতো জায়গা টেন্ডার না ডেকেই বণ্টন করার অভিযোগ।  হাসপাতালে কাজের টেন্ডার দেওয়ায় স্বজনপোষণের অভিযোগ।  কোটি কোটি টাকার টেন্ডার নির্দিষ্ট কয়েকজনকে দেওয়া, এই তালিকায় অযোগ্যরাও আছেন বলে অভিযোগ। হাসপাতালের সরবরাহকারীদের কাছ থেকে ২০ শতাংশ হারে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। 


এছাড়াও, মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষা সংক্রান্ত কাজে বরাদ্দ টাকা নিয়েও অনিয়মের অভিযোগ। হাসপাতালের বায়োমোডিক্যাল বর্জ্য বেআইনিভাবে বাইরে বিক্রি করার অভিযোগ। কলকাতা পুরসভাকে ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন বেনামি ব্যবসা চালানোর অভিযোগ। হাসপাতালে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ। জিম এবং নিজের চেম্বারের সৌন্দর্যায়নের জন্য কোভিড ফান্ডের অপব্যবহারের অভিযোগ। টাকার বিনিময়ে বেআইনিভাবে চিকিৎসক-অফিসারদের বদলি-সহ নানা রকম অনিয়মের অভিযোগ। 


উল্লেখ্য, এর আগে মর্গে দালালচক্র নিয়ে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছিলেন হাসপাতালের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের প্রাক্তন হেড ক্লার্ক তারক চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, 'ময়নাতদন্ত থেকে দেহ বাড়ি পৌঁছে দেওয়া, পুরোটাই চলত প্যাকেজ সিস্টেমে। দেহ প্রতি ঠিক করা ছিল অন্তত ১০ হাজার টাকার প্যাকেজ। দেহ ময়নাতদন্তের পর স্টিচ করতেও দিতে হত মোটা টাকা। টাকা না দিলে মৃতের আত্মীয়দের বলা হত স্টিচ করে নিতে। মর্গে দেহ রাখতেও নেওয়া হত হাজার হাজার টাকা।'


আরও পড়ুন, 'আন্দোলনকে আটকানো যাবে না', মুখ্যমন্ত্রীর প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারির পরেও কর্মবিরতিতে অনড় আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা


এমনকী, তিনি এও অভিযোগ করেছিলেন, 'সেলাই করতে হবে, ওয়াশ করতে হবে...নানা রকমের বাহানা করে ন্যূনতম ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। প্যাকেজ। কাটা মৃতদেহ...যদি পার্টি না আসবে ...ভয় দেখিয়ে কাটা বডি দেখিয়েছেন। কাটা বডি দেখিয়ে বলতেন, প্রয়োজনে সেলাই করে নিতে হবে। ময়নাতদন্তের আগে...রোগীর পরিবারের ওরকম অবস্থা...তাঁরা এসে বলছেন শুধু একটু দেখব। তারজন্য টাকা নিতেন। খবর আছে আমার কাছে। তারজন্য ৫০০-১০০০, যার কাছে যেমন পান। না দিতে চাইলে তাঁকে সবার শেষে দেহ দেবেন। সে হয়তো প্রথমে এসেছে, কিন্তু সন্ধেবেলায় সবার শেষে তার বডি দেবে।' 


 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে