সৌভিক মজুমদার, কলকাতা:  আরজি কর মেডিক্যালে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুন মামলায় সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে দ্রুত সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করুক সিবিআই। এই দাবিতে ফের ধর্মতলায় ধর্নায় বসেছিলেন চিকিৎসকরা। যদিও পুলিশি অনুমতি না দেওয়া, বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়া নিয়ে মামলা গড়িয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। ২০ থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধর্মতলায় জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস-কে অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি দেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্যে। এদিন সেখানেও ধাক্কা। 


চিকিৎসকদের অবস্থান বিক্ষোভ নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। কর্মসূচি চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিল বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। চিকিৎসকদের আবেদন অনুযায়ী ১০০ জন চিকিৎসক অবস্থান স্থলে থাকতে পারবেন। ২৫ তারিখ অবস্থান বন্ধ রাখা সম্ভব কিনা আদালতে জানাবে চিকিৎসক সংগঠন। আর জি করের ঘটনা নজিরবিহীন, অকল্পনীয় এবং ভয়ঙ্কর, মন্তব্য বিচারপতি হরিশ টন্ডনের।                                         


 
মূলত ধর্মতলায় অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় রাজ্যের তরফে। ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের তরফে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার নজরদারি করছে। এই অবস্থায় কি রোজ ধর্না করা যায়? প্রত্যেক সময় উৎসবের সময় এই ধরনের কর্মসূচি করা হচ্ছে। এটা বড়দিনের সময়। যারা বড়দিন উদযাপন করতে আসবে তাদের কি কোনো অধিকার নেই? সবসময় মেট্রো চ্যানেলে কেন ? ঠিক তার পিছনেই ওয়াই চ্যানেল আছে, সেখানে কেন নয়? ছবি দেখুন, এই কর্মসূচির ফলে যানজট হচ্ছে।' 


আরও পড়ুন, জগন্নাথ দর্শনে এবার নয়া নিয়ম, পুরীর মন্দিরে বদলে দেওয়া হচ্ছে...


রাজ্যের পাল্টা সওয়াল করেন মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁদের তরফে এদিন বলা হয়, 'যদি কর্মসূচিতে লোক আসে, তাহলে রাজ্যের অসুবিধা কোথায়? আদালতের নির্দেশে গার্ড রেল দেওয়া আছে। সবাই গার্ড রেলের মধ্যেই আছে। পথচারীদের কোনো অসুবিধা বা যানজট হচ্ছে না। আর মানুষ বড়দিনে পার্কস্ট্রীট যায়, কখনই ডোরিনা ক্রসিংয়ের দিকে আসে না। কিছু রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হলে রাজ্য এই প্রশ্ন তোলে না।' 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে