সৌমেন চক্রবর্তী এবং ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনে সুবিচারের দাবিতে রাজ্য সরকারের অনুদান না নেওয়ার কথা জানাল আরও দুটি পুজো কমিটি।


রাজ্য সরকারের অনুদান ফিরিয়ে প্রতিবাদে শহর থেকে জেলা পুজো কমিটি। সেই তালিকায় নাম জুড়ল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের সাগরপুর সর্বজনীন দুর্গোৎসবের। নিহত চিকিৎসকের প্রতীকী নামে তৈরি হচ্ছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চ। পুজোর ক’টাদিন  মণ্ডপে নির্যাতিতার ছবি রেখে জ্বালানো হবে মোমবাতি। আরাধনায় আছি, উৎসবে নেই, জানিয়েছেন সাগরপুর সর্বজনীন দুর্গোৎসব পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা। 



একই পথে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা-দিঘা মোড় সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে তারাও রাজ্য সরকারের দেওয়া পুজো অনুদান না নেওয়ার কথা জানিয়েছে। এগরা থানা ও এগরার মহকুমা শাসককে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।  পুজো কমিটির সিদ্ধান্ত, নেওয়া হবে না বিশ্ববাংলা পুরস্কারও। এগরা পুরসভার তৃণমূল পুরপ্রধানের কটাক্ষ, কোনও একটি  রাজনৈতিক দলের পন্থা মেনে কাজ করছে পুজো কমিটি। বিরোধীদলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।                                         


আরও পড়ুন, 'একজনও জুনিয়র সাসপেন্ড হলে আমরা ওপিডি ওয়ার্ক তুলে নেব', কড়া বার্তা সিনিয়র চিকিৎসকদের


তবে যদি পুজো অনুদান না নেওয়া নিয়ে এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'পুজোর টাকার যে ফান্ডিং, এবার আরও কিছু অনুরোধ আমাদের কাছে এসেছে। সবটা হয়তো পারব না। কিন্তু আমাদের প্রায় সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার মতো খরচ হচ্ছে ক্লাবগুলোকে দেওয়ার জন্য়। সেই টাকাটা আগামীকাল থেকে ছাড়ার জন্য় আমি বলে দিচ্ছি। যদি কেউ না নিতে চান, ভাল। তাদের সামর্থ্য আছে। তাহলে আপনার যে নতুন লিস্ট এসেছে, সেই লিস্ট থেকে নতুন যাঁরা এসেছেন, তাঁদের দিয়ে দেবেন। নতুন অলরেডি আমাদের কাছে অনেকে অনুরোধ করে আছে।' 


পুজোর বাকি আর ১ মাস। কিন্তু উৎসবের আমেজ নয়, এক মায়ের সন্তান বিয়োগ যেন সমস্ত সমাজকে আত্মীয়হারা করে দিয়েছে। সবার একটাই দাবি, বিচার চাই।


 



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে