সন্দীপ সরকার, কলকাতা: অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়াতে এবার প্রতীকী অনশনে সিনিয়র ডাক্তাররাও। ধর্মতলায় ১২ ঘণ্টার অনশনে জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টর্স-এর প্রতিনিধিরা। সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত হবে এই অনশন।
বিভিন্ন হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকরা এই অনশনে অংশগ্রহণ করেছেন। প্রতীকী অনশন মঞ্চ থেকে এক সিনিয়র চিকিৎসক বলেন, 'অনেক বছর ধরে দুর্নীতি দেখতে দেখতে ক্লান্ত। এবার সমূলে বিনাশ দরকার'। ইতিমধ্যেই ২৫ থেকে ৩০ জন সিনিয়র চিকিৎসক প্রতীকী অনশনে যোগ দিয়েছেন। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। শতাধিক চিকিৎসক সোমবার আউটডোর বন্ধের কথাও জানিয়েছেন।
এদিকে, জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে আংশিক কর্মবিরতির ডাক দিলেন অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ। সোমবার থেকে আংশিক কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন তাঁরা।
আর জি কর মেডিক্যালে চিকিৎসককে খুন-ধর্ষণের প্রতিবাদে একদিকে যখন অনশন চালাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তখন তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে পথে নেমছেন অন্যান্য চিকিৎসকরাও। গণ-ইস্তফার হিড়িক পড়েছে বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজে।
আরও পড়ুন, 'ডেকে অপমান', সরকারের সঙ্গে বৈঠকের পর ক্ষোভে ফেটে পড়লেন জুনিয়র ডাক্তাররা
অন্যদিকে, রাজ্য সরকারের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে মিলল না কোনও রফাসূত্র। দু-ঘণ্টার বেশি সময় পর, বৈঠক থেকে বেরিয়ে, রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিরা। জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে অনশন তোলার আহ্বান জানালেন মুখ্যসচিব। যদিও আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার বলেন, 'আমাদের ৭ জন সহযোদ্ধা এবং উত্তরবঙ্গের ২ জন সহযোদ্ধা ১০০ ঘণ্টার উপরে আজকে না খেয়ে রয়েছেন, ওনারা বলেছেন যে, পুজোটা কেটে যাক তারপর আমরা ভাবছি। আমরা মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।'
এদিকে, ষষ্ঠীর সন্ধেয় ধর্মতলায় জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন মঞ্চে পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যা স্মৃতি উস্কে দিল আঠেরো বছর আগের। বুধবার জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন মঞ্চে আসেন অপর্ণা সেনও। মুখ্যমন্ত্রীকেও সেখানে আসতে অনুরোধ জানান তিনি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে