অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: স্বাস্থ্যভবনে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্না এলাকার একাংশের উপরে থাকা ত্রিপল খুলে নিচ্ছেন ডেকরেটররা, মঙ্গলবার দেখা গেল এমনই দৃশ্য।
এমনকী তাঁবুতে লাগানো ফ্যানও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ক্যাম্প খাটও। এসব করতে ডেকরেটরদের উপর চাপ দেওয়া হচ্ছে, অভিযোগ আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের। অন্য অনুষ্ঠানের যুক্তি দেখিয়ে ত্রিপল, পাখা সরানো হচ্ছে, অভিযোগ চিকিৎসকদের। এদিকে পুলিশের তরফে ডেকটেরদের কোনও চাপ দেওয়া হয়নি, এমনটাই জানিয়েছেন বিধাননগরের সিপি অনীশ সরকার।
এদিকে, আর জি কর-কাণ্ডের তদন্তে CBI-এর নজরে সল্টলেকের হোটেল। ৯ অগাস্ট রাতে কে ছিল সেই হোটেলে? হোটেলের রেজিস্টার ও নথি চেয়ে পাঠাল সিবিআই। নথি নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন হোটেলের দুই কর্মী। অ্যাপের মাধ্যমে বুকিং করা হয়েছিল হোটেলের ঘর, উল্লেখ রয়েছে CBI-এর নোটিসে।
অন্যদিকে, গতকাল মুখ্যসচিবের সঙ্গে নবান্নের বৈঠকে মিনিটস নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় জুনিয়র চিকিৎসকরা হতাশ। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্নার পাশাপাশি কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আন্দোলনকারীরা। আজ অবস্থানের দশম দিন ও কর্মবিরতির ৪১ তম দিন। এখনও মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে জুনিয়র চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা ও থ্রেট কালচার বন্ধ করার ব্যাপারে রাজ্য সরকারের তৎপরতা দেখা যায়নি বলে দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুন, সেমিনার হলের উল্টোদিকের ঘরে ছিলেন এক রোগিণী! সেদিন রাতে কী দেখেছিলেন?
এদিকে, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, হাসপাতালে থ্রেট কালচার বন্ধের দাবিতে একদিকে যখন নবান্নে বৈঠক করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তখন হুমকি-সংস্কৃতি বন্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে মালদা মেডিক্যাল কলেজ।গতকাল অধ্যক্ষ ও সুপারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান জুনিয়র চিকিৎসক ও MBBS পড়ুয়ারা। সন্ধে ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে বিক্ষোভ। অবশেষে অধ্যক্ষের আশ্বাসে সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর বিক্ষোভ ওঠে। হাসপাতালে থ্রেট কালচার বন্ধের পাশাপাশি, জুনিয়র চিকিৎসকরা দাবি করেন অবিলম্বে ছাত্র কাউন্সিল গঠন করার। অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, থ্রেট কালচারের অভিযোগ তাঁর কাছে আসেনি। ছাত্র কাউন্সিল তৈরি নিয়ে যে দাবি উঠেছে, তা তিনি স্বাস্থ্য ভবনে জানিয়েছেন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে