কলকাতা : কাল দেশজুড়ে সব মেডিক্যাল কলেজে প্রতীকী অনশনের ডাক । কাল সব মেডিক্যাল কলেজে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনের ডাক দেওয়া হয়েছে। ১২ ঘণ্টা অনশনের ডাক দিয়েছে IMA হেডকোয়ার্টার জুনিয়র ডক্টর্স নেটওয়ার্ক। কাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত প্রতীকী অনশনের কথা বলা হয়েছে। আর জি কর-কাণ্ডে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়াতে এই কর্মসূচি।
আজ সকাল থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত, ৪৮ ঘণ্টা প্রতীকী কর্মবিরতির ডাক একাধিক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলে চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছে। অ্য়াপোলো, মণিপাল, মেডিকা, আর এন টেগোর, ফর্টিস, পিয়ারলেসের পর আংশিক কর্মবিরতি উডল্যান্ডসের। আংশিক কর্মবিরতি CMRI, BM বিড়লা, কোঠারি এবং বেহালার নারায়ণ মেমোরিয়াল হাসপাতালেও। আংশিক কর্মবিরতি চলছে সল্টলেকের মনিপাল হাসপাতাল, পিয়ারলেস হাসপাতালে।
আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ও জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের পাশে থেকে একের পর এক সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা গণইস্তফা দিয়েছেন। পাশে দাঁড়িয়েছেন বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকরাও। কলকাতার একের পর এক বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তাররা সম্মিলিত ভাবে আংশিক কর্মবিরতির ঘোষণা করেছেন। আগেই এই তালিকায় ছিল অ্যাপোলো, মণিপাল, আরএন টেগোর ও ফর্টিস হাসপাতাল। আর এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয় সি কে বিড়লা গ্রুপ অফ হসপিটালস, কোঠারি হাসপাতাল ও উডল্যান্ডস হাসপাতাল।
ছড়াচ্ছে প্রতিবাদের আঁচ। আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে এবং জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়ে, আংশিক কর্মবিরতির পথে হেঁটেছে আরও দুই বেসরকারি হাসপাতাল। শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য় আংশিক কর্মবিরতি চলছে ফর্টিসে। ফর্টিস হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য় আংশিক কর্মবিরতিতে যাচ্ছে তারা। সোম ও মঙ্গলবার পেনডাউন পিয়ারলেস হাসপাতালে। আগামী বুধবার অবধি নন-ইমারজেন্সি পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেডিকা হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ। এই মর্মে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের ১১২ জন চিকিৎসক। এর আগে আংশিক কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল, মনিপাল হাসপাতাল, আর এন টেগোর হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ।
অন্যদিকে আবার অনশন রত ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়ে হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছে ফেডারেশন অফ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। তাদের উল্লেখ, 'ব্রিটিশ শাসনের পর বাংলায় অন্ধকারতম সময়। সমাধান না বেরোলে, অনশনকারীরা মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাবেন'