ধর্মতলায় অনশন আন্দোলনের নবম দিন। অনশনরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য়ের ক্রমশ অবনতি হচ্ছে।
আর জি কর-কাণ্ডে বিচারের দাবিতে এবং, আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতি সংহতি জানিয়ে, নতুন করে প্রতীকী আংশিক কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতার একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল। অ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসক শিবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ''বেসরকারি ক্ষেত্র হলেও তাঁরা আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন, কারণ তাঁদের সন্তান সম জুনিয়র চিকিৎসকরা না-খেয়ে রাস্তায় বসে আছেন, সেখানে তাঁদের তো ছেড়ে দেওয়া যায় না। তাই 'আলাপনবাবুর মতো সবকিছু তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য না করে' প্রশাসনের ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখা দরকার। ''
সোমবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬ পর্যন্ত আংশিক কর্মরিরতি শুরু করেছেন শহরের নামি-দামি বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তাররা। ৪৮ ঘণ্টা আংশিক কর্মবিরতি চলীকালিন বেসরকারি হাসপাতালগুলির জরুরি বিভাগ ছাড়া সব পরিষেবা বন্ধ থাকবে। তালিকায় আছে, অ্যাপোলো, মণিপাল, মেডিকা, আর এন টেগোর, ফর্টিস, পিয়ারলেস হাসপাতেল , আলিপুরের উডল্যান্ডস মাল্টি স্পেশালিটি, CMRI, BM বিড়লা, কোঠারি এবং বেহালার নারায়ণা স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসকরাও।
সিনিয়র চিকিৎসক ভাস্কর পাল আরও কড়া বার্তা দিলেন। 'স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলছেন , আমি কিছু জানতাম না, স্বাস্থ্য সচিবকে সরানো হবে না...কাউকে তো একটা দায়িত্ব নিতে হবে। দায়িত্বটা কার ! আমরা চাই এটা তাড়াতাড়ি মিটুক। আমরা বলেছি, সোমবার সকাল ৬ টা থেকে কর্মবিরতিতে যাব। আমি নিশ্চিত মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ বা তার কেউ এই প্রেস কনফারেন্সটা শুনছেন। যদি শুনে থাকেন, তাহলে হাত জোড় করে বলব, লুকোচুরি খেলা বন্ধ করুন। মনোজ পন্থকে অনুরোধ করব, আপনি নিজে অনশন মঞ্চে আসুন। আমাদের বাধ্য করবেন না, সোমবার সকাল ছটায় এটা করতে।'
বেসরসারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, সরকার সাড়া দিচ্ছে না বলেই জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ডায়াগনিস্টিক সেন্টার, প্রাইভেট চেম্বারেও কর্মবিরতি করার আহ্বান জানিয়েছেন বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন :
'মমতাকে জেতাতে অনেক পরিশ্রম করেছিলাম, মনে হচ্ছে পাপ করেছি' অনশন মঞ্চে অশীতিপর বৃদ্ধ