ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: অবশেষে সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করল স্বাস্থ্য দফতর। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারির একদিন পরে সাসপেন্ড। আগেই সন্দীপের সাসপেনশনের দাবি জানিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তখন কর্ণপাত করেনি রাজ্য সরকার, সিবিআইয়ের গ্রেফতারির পরে চাপে পড়ে সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের ।                                                                     


রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকেও বিতাড়িত সন্দীপ ঘোষ। সরানো হল মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্যানেল ও এথিক্স কমিটি থেকে। সিবিআইয়ের গ্রেফতারির পরে অবশেষে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত।                                


সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারের পর থেকে তাঁকে স্বাস্থ্য দফতর থেকেও সরানোর দাবি ওঠে। আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা এও বলেছিলেন, রাজ্য কেন তাঁকে এখনও স্বাস্থ্য দফতরে রেখে দিয়েছেন? বিশেষজ্ঞদের মতে, সিবিআইয়ের গ্রেফতারির পরে চাপে পড়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 


এই সন্দীপ ঘোষই, যিনি প্রবল চাপের মুখে, আর জি কর মেডিক্যালসের অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কয়েকঘণ্টার মধ্যে, তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যালসের অধ্যক্ষ করে দিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর। তবে আদালতের হস্তক্ষেপে সন্দীপ ঘোষের বদলি আটকায়। সেই সময় তাঁকে সটান ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট


আরও পড়ুন, আলিপুর কোর্ট থেকে বেরোতেই সন্দীপ ঘোষকে সপাটে চড়! চোর চোর স্লোগান


এদিকে চোর চোর বিদ্রুপ থেকে চড়, মঙ্গলবার সন্দীপ ঘোষকে আদালত চত্বরে দেখা মাত্রই ক্ষোভ উগরে দিলেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে আইনজীবীদের একটা বড় অংশ। নিজাম প্যালেস থেকে আলিপুর শোনা গেল চোর-চোর ও ধিক্কার স্লোগান। চড়ও মারা হয় সন্দীপ ঘোষকে।                                              


উল্লেখ্য, এর আগে এই সন্দীপ ঘোষকে প্রভাবশালী বলে বলে মন্তব্য় করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। আর জি কর-কাণ্ডের পর প্রবল চাপের মুখে সন্দীপ ঘোষ ইস্তফা দিলেও, কয়েকঘণ্টার মধ্য়ে আবার তাঁকে ন্য়াশনাল মেডিক্য়ালের অধ্য়ক্ষ করে স্বাস্থ্য় দফতর। শেষ অবধি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ছুটিতে যেতে বাধ্য় হয়েছিলেন এই সন্দীপ ঘোষ। এবার দুর্নীতির মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ৮দিনের সিবিআই হেফাজত।