কলকাতা : 'কাল রাতে না আজ সকালে দেখলাম, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে কে একজন অনশন শুরু করেছেন, বিকালের মধ্যেই চলে গেলেন হসপিটালাইজড। দমই নেই।' ফের জুনিয়র ডাক্তারদের নিশানা করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।


এদিন তিনি বলেন, "Hunger Strike Upto Hospitalization' হয়েছে, 'Not Hunger Strike Until Death।' আমরণ অনশন ..যতক্ষণ পর্যন্ত না হাসপাতালে যাচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত। তারপর আবার সব শেষ। কাল রাতে না আজ সকালে দেখলাম, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে কে একজন অনশন শুরু করেছেন, বিকালের মধ্যেই চলে গেলেন হসপিটালাইজড। দমই নেই। যা ইচ্ছা করুক। ওদের যেটা মনে হচ্ছে সেটা করুক। ওঁরা তো মানুষের সেবা করতে আসেননি, নিজেদের ব্যাপারটা গুছিয়ে নিতে এসেছেন। গ্রাম-বাংলার মানুষের কাছে যাক না...মানুষ বুঝিয়ে দেবেন ঠিকমতো উত্তর। ধর্মতলায় সেফ জোনে থেকে অনেক কিছু বলা যায়। ৫০ খানা ক্যামেরা নিয়ে, ৫০টা চ্যানেল নিয়ে অনেক কিছু বলা যায়। যা ইচ্ছে করুক গে যাক। সিবিআইয়ের কাছে যাক না...সিবিআইয়ের বিরুদ্ধেও মামলা করতে পারতো। সিবিআই যে ভুল করেছে, সিবিআই যে অন্যায় করেছে, সিবিআই যে আরও অ্যারেস্ট করেনি...ওঁদের তো এত বড় বড় উকিল রয়েছে, এত বড় বড় মাথা রয়েছে। হয়েছে কী জানো...ডাক্তার ছেলেগুলো যাঁরা করছেন, এঁরা বাচ্চা ছেলে। এঁদের মাথাগুলো যাঁরা খাচ্ছেন, বুড়ো মাথার লোকগুলো...মাথায় যত শয়তানি বুদ্ধি সেইসব নিয়ে খাচ্ছেন এঁরা। ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। কিছু সিনিয়র ডাক্তার আছেন হাসপাতালের, কিছু মাকু পার্টির আছে সব। পিছন থেকে খেলছে।"


এর আগে আরজি কর-কাণ্ডে দিকে দিকে প্রতিবাদের মধ্যেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নিশানা করে সিপিএমকে। 'সিপিএম পার্টির যে লোকেরা থাকেন, তাঁদের দুর্গাপুজো নিয়ে কোনও ইনভলভমেন্ট নেই। তাঁরা দুর্গাপুজো বন্ধ করতে চাইবেই।' আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদেরও তখন আক্রমণ করেছিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ। 'মানুষকে পরিষেবা না দিয়ে... দূরে দাঁড়িয়ে থেকে বিপ্লব আন্দোলন হয় না। থ্রেট করে সরকারকে ভয় দেখিয়ে কখনো সরকার সরানো যায় না।' হুগলির চণ্ডীতলার সভা থেকে এমনই হুঙ্কার দেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।


তিনি বলেন, "বিচারের নামে দুর্গাপুজো বন্ধ করে দিয়ে গরিব মানুষের পেটে লাথি মারার বিচার...এ বিচার আমরা চাই না। এটা অবিচার। সেই বর্ণবিদ্বেষী... সিপিএম পার্টির যে লোকেরা থাকেন, তাঁদের দুর্গাপুজো নিয়ে কোনও ইনভলভমেন্ট নেই। তাঁরা দুর্গাপুজো বন্ধ করতে চাইবেই। মানুষকে পরিষেবা না দিয়ে... দূরে দাঁড়িয়ে থেকে বিপ্লব আন্দোলন হয় না। মানুষ যেদিন জাগ্রত হবে...মানুষের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন ...মানুষের পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য যে আন্দোলন...সে আন্দোলন কখনো সার্থকতায় রূপান্তরিত হতে পারে না। এটা অসম্ভব ব্যাপার। গরিব মানুষের পেটে লাথি মেরে...গরিব মানুষকে না চিকিৎসা দিয়ে ...গরিব মানুষের বাচ্চারা মারা যাবে...পরিষেবা দেবেন না...ডাক্তারি ট্রিটমেন্ট দেবেন না...হাসপাতালের ট্রিটমেন্ট দেবেন না ...নিজস্ব দাবি-অধিকার নিয়ে রাস্তায় বসে থাকবেন এটা হতে পারে না। থ্রেট করে সরকারকে ভয় দেখিয়ে কখনো সরকার সরানো যায় না। গান গেয়ে হয় না। জেএনইউর কালচার পশ্চিমবঙ্গে হয় না। যারা বলেছিল, এ আজাদি ঝুটা হ্যায়...আজ তারা বলছে আজাদি চাই...আজাদি চাই।"


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।