ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital Murder case) ধর্ষণের পর খুন হওয়া জুনিয়র মহিলা চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট (post modern report) আজ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই মহিলা চিকিৎসকের যৌনাঙ্গে গভীর ক্ষত রয়েছে। ওই মহিলা মারা যাওয়ার আগে ওই ক্ষত হয়েছিল। আরও ওই ক্ষত থেকে গভীর পরিমাণ রক্তপাত হয়েছে। ডিপ পেনিট্রেশন হয়েছে। নারকীয় অত্যাচারের জেরে ওই মহিলার গোপনাঙ্গ থেকে প্রচুর রক্তপাত হয়েছে। ওই চিকিৎসকের হাইমেন ভেদ করে ডিপ পেনিট্রেশন করা হয়েছে। তদন্তে আরও জানা গেছে যে, তাঁর মাথাতেও চোট এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক আঘাত রয়েছে। ওই চিকিৎসকের ঊর্ধ্বাঙ্গেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে। পা-এ চোট রয়েছে।
মৃত মহিলার যৌনাঙ্গ থেকে দেহরস সংগ্রহ করে ফরেন্সিক তদন্তের জন্য স্টেট ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তে আরও জানা গেছে যে প্রথমে দমবন্ধ করে খুনের চেষ্টা করা হয় পরে ওই মহিলা চিকিৎসককে গলা টিপে হত্যা করা হয়। এছাড়া ওই মহিলার শরীরের একাধিক অঙ্গে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর পা ভাঙা রয়েছে। শরীরের উপরের অংশেও আঘাত রয়েছে। সেখানে কিছু নখের আঁচড়ের দাগও দেখতে পাওয়া গেছে। শরীরের যেখানে যেখানে আঘাত রয়েছে সেখান থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলির ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।
ওই চিকিৎসককে দমবন্ধ করে মারার জন্য প্লাস্টিকের ব্যবহার করা হয়েছিল অথবা বালিশ দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে মারা হয়েছে। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের কাছে আঘাত করা হয়। ফলে সেখানে ইনজুরি রয়েছে। এর পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন অংশেও ইনজুরির চিহ্ন দেখা গেছে। এভাবেই শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে তাঁর মৃত্যুকে নিশ্চিত করেছে অভিযুক্ত। আরও জানা গেছে, মৃত্যুর আগে তাঁকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ওই চিকিৎসকের শরীর থেকে সংগ্রহ করা নমুনাগুলো ল্যাবে পাঠিয়েছে তদন্তকারীরা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।