কলকাতা : অশনের ১৫ দিন পার। একের পর এক অনশনকারী অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে শুক্রবার বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেন আন্দোলনকারীরা। আর ঠিক তার পরদিনই শনিবার ধর্মতলায় ধর্নামঞ্চে আসেন মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিব। তারপর জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যসচিব এব স্বরাষ্ট্রসচিব। অনশনকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেনও মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব। তখনই সকলের চোখ আটকায় ধর্নামঞ্চে। তবে কি গলবে বরফ ? বেরোবে কি কোনও সমাধান সূত্র ? 


এরপর ফোনে অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। বেশিরভাগ দাবিই পূরণ করেছি। প্রথমে ৫টি দাবির মধ্যে ৪টি দাবিই পূরণ করা হয়েছিল। শুধু স্বাস্থ্যসচিবকে সরাতে পারিনি'। সময় চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী। ফোনে এদিন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা হয় আন্দোলনকারীদের। তারপর মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন, 'আমি চিন্তিত।  আমিও আপনাদের মতো একজন মানুষ।কাজেই আমি আপনাদের শুভ কামনা করছি। আপনাদের শারীরিক সুস্থতা জরুরি...। তাড়াতাড়ি আপনারা এই জটিলতা থেকে বেরিয়ে আসুন...যতটুকু করা সম্ভব, কথা দিচ্ছি নিশ্চয় করব'  


মুখ্যমন্ত্রী বলেন,  ' আমি আপনাদের কথায় সায় দিয়ে , ওঁর অনেক কষ্ট হয়েছিল তা সত্ত্বেও, আমার DME, DHS কে সরিয়ে দিয়েছিলাম। আমি কলকাতা পুলিশের কমিশনার, ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ পদ তাঁকেও সরিয়ে দিয়েছিলাম। শুধু একটা কাজ করতে পারিনি। পাঁচটা দাবির মধ্য়ে চারটে আপনাদের হয়ে গিয়েছে, একটাই শুধু হয়নি তার কারণ একটা বিভাগে আপনারাও স্বীকার করবেন, একটা পরিবারে যেমন বাবা-মা থাকে, অন্য়ান্য়রাও থাকে, ছেলে মেয়েরাও থাকে। একটা ডিপার্টমেন্ট থেকে যদি আমি সবাইকেই সরিয়ে দিই, তাহলে সেই ডিপার্টমেন্ট চলতে পারে না এবং আমি আপনাদের কথা শুনে DMEকে সরিয়ে দিয়েছিলাম।  DHS কে সরিয়ে দিয়েছিলাম।  তাঁদেরও আমাদের নিয়ে আসতে হবে, ইলেকশন প্রসেস করে, ইলেকশন মানে নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্য়মে। ... আমি চাইছি প্রক্রিয়াগুলো করতে।... এটা আমার অনুরোধ। আপনারা মানবেন কি মানবেন না এটা সম্পূর্ণ আপনাদের সিদ্ধান্ত। '


শেষে ফের জুনিয়র ডাক্তারদের নবান্নে আলোচনার জন্য ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আর্জি জানান, 'আপনারা অনশন তুলে দয়া করে কাজে যোগ দিন। মেডিক্যাল পরীক্ষা যাতে সঠিক ভাবে হয়, তার জন্য কঠোর পদক্ষেপ করা হবে'। 


 


আরও পড়ুন :


'৩-৪ মাস সময় দিন', 'দিদি হিসেবে' অনশন প্রত্যাহারের আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর, মিলবে সাড়া?