কলকাতা : মঙ্গলবার জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে স্বাস্থ্য ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। তার আগে শনিবারই ছিল শহর জুড়ে বিরাট 'ন্যায়যাত্রার' আয়োজন। বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণার পরের দিনই অনশন মঞ্চে পৌঁছলেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব। অনশন শুরুর ১৫দিনের মাথায় অনশনমঞ্চে এলেন সরকারের দুই শীর্ষকর্তা।
১০ দফা দাবিতে ১৫ দিন ধরে ধর্মতলায় অনশনে জুনিয়র ডাক্তাররা। এবার তাঁদের আন্দোলন তুলে নেওয়ার আবেদন করে ফোনে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফোনে অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের মুখ্যমন্ত্রী বললেন, 'আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। বেশিরভাগ দাবিই পূরণ করেছি। প্রথমে ৫টি দাবির মধ্যে ৪টি দাবিই পূরণ করা হয়েছিল। শুধু স্বাস্থ্যসচিবকে সরাতে পারিনি। '
এরপর অনশনরত চিকিৎসকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন তিনি । বলেন, 'পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দিন, একসঙ্গে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে নির্বাচন হবে। ৩-৪ মাস সময় দিন, মেডিক্যাল কলেজগুলিতে নির্বাচন করব। হাসপাতালের উন্নয়নে ১১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। সরকারি হাসপাতাল পরিষেবা না দিলে মানুষ কোথায় যাবে?'
আগেরবারও যখন স্বাস্থ্যভবনের সামনে আন্দোলন মঞ্চে এসেছিলেন, বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নয়, দিদি হিসেবে এসেছি। আর এবার বললেন, 'দিদি হিসেবে বলছি, আপনাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া হবে। আপনারা অনশন তুলে দয়া করে কাজে যোগ দিন'
এরপর জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন ডা. দেবাশিস হালদার। সকলেরই অপেক্ষা মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে কী প্রতিক্রিয়া দেন অনশনরত চিকিৎসকরা ? প্রত্যাহার করবেন কি তাঁরা অনশন কর্মসূচি ? দীর্ঘ টেলিফোনিক কথোপকথনে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেন, 'মেডিক্যাল পরীক্ষা যাতে সঠিক ভাবে হয়, তার জন্য কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। যতটুকু করা সম্ভব, কথা দিচ্ছি নিশ্চয় করব।' এরপর সোমবার বিকেলে জুনিয়র ডাক্তারদের ফের নবান্নে ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী।
এরই মধ্যে শনিবার নিহত নির্যাতিতার বাড়ির এলাকা থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত ‘ন্যায়বিচার যাত্রা’ শুরু হয়েছে। রবিবার ধর্মতলার অনশনমঞ্চে ‘মহাসমাবেশে’র ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। শনিবার ফের ডার্বির আগে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান সমর্থকদের প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। উল্টোডাঙা থেকে রুবি মোড় পর্যন্ত হবে মানববন্ধন।
আরও পড়ুন :