কলকাতা: ফিয়ার্স লেনে 'ফিয়ারলেস' আন্দোলন জুনিয়র চিকিৎসকদের। উর্দি বনাম স্টেথোর লড়াইয়ে প্রতীকী শিরদাঁড়ার সামনে অবশেষে বাইশ ঘণ্টা পর নতিস্বীকার করল লালবাজার। খুলে ফেলা হয় লৌহ কপাট। লালবাজারের দিকে মিছিল করে ১০০ মিটার এগিয়ে যান জুনিয়র চিকিৎসকরা। এরপর পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে, তাঁর কাছে তাঁরই পদত্যাগ দাবি করলেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা।
কী কথা হল বৈঠকে? কী বললেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার? বৈঠক শেষে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা সংবাদমাধ্যমে জানালেন, "আমরা ওঁকে শেষে প্রশ্ন করি, যে ব্যক্তিগতভাবে এই ঘটনার নৈতিক দায়ভার কি উনি নিচ্ছেন ? তাতে উনি উত্তর দিয়েছেন যে উনি নিজের কাজে সন্তুষ্ট। তবে ওঁর কোনও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যদি মনে করেন, তিনি তাঁর কাজে ফেল করেছেন এবং তাঁকে যদি তাঁর পদ থেকে সরিয়ে ফেলা হয় তাহলে সেই দাবিও উনি হাসিমুখে মেনে নেবেন।
আরও পড়ুন, আলিপুর কোর্ট থেকে বেরোতেই সন্দীপ ঘোষকে সপাটে চড়! চোর চোর স্লোগান
আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো বলেন, 'দেখা করার পর, আমাদের ডেপুটেশন সম্মানিত যে কপি, সেই কপি আমরা তাদের পরিষ্কার যে লড়াই ১০ তারিখ, ১২ তারিখ, ১৪ তারিখে আর জি করের বুকে যে ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য আমরা তাঁর পদত্যাগের দাবি রেখেছি। তাহলে এই পদত্যাগের যে ডেপুটেশন সম্মানিত কপি সেটা তাঁর সামনে পড়া হয়।'
সোমবার দুপুর থেকে মঙ্গলবার দুপুর নিজেদের অবস্থানেই অনড় থেকে শেষপর্যন্ত লালবাজারকে কার্যত ঝুঁকতে বাধ্য করলেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। কিন্তু, সেই যখন পুলিশ আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মানলই, তখন তা মানতে মানতে ২২ ঘণ্টা কেন লাগল? লালবাজারের সামনে থেকে অবস্থান তুলে নিলেও, বিচারের দাবিতে আন্দোলন একই ভাবে চলবে বলে জানান জুনিয়র ডাক্তাররা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে