কলকাতা: নবান্নের পুনরাবৃত্তি কালীঘাটে। ভেস্তে গেল মুখ্যমন্ত্রী-আন্দোলনকারী বৈঠক (RG Kar Case)। নিস্ফলা বৈঠক, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দুয়ার থেকে ফিরলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।


যদিও বৈঠক বাতিল হওয়ার পর ক্ষোভ উগরে দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, 'আমরা বলেছিলাম, লাইভ স্ট্রিমিং যদি নাও করা যায়, স্বচ্ছতার জন্য দু পক্ষকেই ভিডিও রেকর্ডিং করতে দেওয়া হোক। তাতে ওরা বললেন, না দু পক্ষকে ভিডিও করতে দেওয়া যাবে না। আমরাই ভিডিও করব। এবং সেই যে ভিডিও, কবে সুপ্রিম কোর্ট বলবে, তারপর তোমাদের দেওয়া হবে।'


ওই আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক আরও বলেন, 'আমরা বারবার বললাম যে, ভিডিও যদি করেন তা ইমিডিয়েট আমাদের পাওয়া উচিত। যদি লাইভ স্ট্রিমিং না করতে পারি, তাহলে ওই ভিডিওটা আমাদের কাছে থাকবে প্রমাণ হিসাবে। যে ওই ভিডিওটা কোনওভাবে ট্যাম্পার করা হয়নি, এডিট করা হয়নি। কিন্তু বললেন না, সঙ্গে সঙ্গে দেওয়া যাবে না। আমরা ফের আলোচনা করলাম নিজেদের মধ্যে। মুখ্যমন্ত্রী বাইরে এলেন। বললেন বৃষ্টিতে ভিজছো। এসো চা খেয়ে যাও। বললেন, ভিডিও আমরা করে রাখবো। সুপ্রিম কোর্ট বললে দেব।'


তিনি যোগ করেন, 'আমরা মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি সম্মান রেখে, তাঁর চেয়ারের প্রতি সম্মান রেখে আমরা ভিডিওগ্রাফি ছাড়াই বৈঠক করতে রাজি হয়ে যাই। বৈঠকের যখন মিনিটস করা হবে, উনি সই করবেন, আমরা করব। ভাবলাম, আমরা আস্থা রাখি। উনি যখন নিজে এসে বললেন, নিজে রিকোয়েস্ট করলেন, তাঁর তো একটা সম্মান আছে। আমরা বললাম, দরকার নেই ভিডিও। আমাদের শুধু মিনিটসটুকু দেওয়া হোক। আমরা বৈঠক করতে রাজি। তখন হঠাৎ করে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এসে বললেন, অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে, আর সম্ভব নয়। আমরা ২ ঘণ্টা ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করেছি। আর সম্ভব নয়। হয় আপনারা বেরিয়ে যান, না হলে আপনাদের বাস ডেকে বার করে দেওয়া হবে।'


জুনিয়র চিকিৎসকেরা ক্ষোভের সঙ্গে বলেছেন, 'আমরা যে তিন চার ঘণ্টা ধরে বৃষ্টিতে ভিজছি। ৩৫ দিন ধরে আন্দোলন করছি। তারপর আমাদের ঘাড়ধাক্কা দেওয়া হল। বলা হল, না আর আলোচনা সম্ভব নয়। তার মানে কি প্রথম থেকে এটাই উদ্দেশ্য ছিল? আমরা স্বচ্ছতার উদ্দেশে ভিডিওগ্রাফি চেয়েছিলাম। আমরা অত্যন্ত হতাশ, নির্বাক, ফিরে যেতে হচ্ছে।'


আরও পড়ুন: পুরুষ-নারী বিভেদ দূর হোক, মহিলাদের উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ মহম্মদ শামির