অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: পুলিশ আটক করলেও ঝোঁকেনি শিরদাঁড়া। তিনি কলকাতা পুরসভার মেডিক্যাল অফিসার তপোব্রত রায়। মঙ্গলবার রাতে থানা থেকে মুক্তি পেয়ে ছুটে গিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে। বুধবার গেলেন নিজের কর্মক্ষেত্র কলকাতা পুরসভায়। মাথা নত করেননি। বুকে লাগানো ব্যাজে লেখা We Want Justice। শুধু তিনিই নন, কলকাতা পুরসভায় কর্মরত অন্যান্য চিকিৎসকরাও ওই ব্যাজ পরেই এলেন কর্মক্ষেত্রে।
তপোব্রত মঙ্গলবার 'শিরদাঁড়া বিক্রি নেই' লেখা টি-শার্ট পরে গিয়ে পুলিশের রোষে পড়েছিলেন। আটক করা হয় তাঁকে। তারপরও তিনি বলেছিলেন এই টি-শার্ট তিনি আগেই কিনেছেন, আবারও পরবেন। আর এবার একা তপোব্রত নয়, পুরসভার অন্যান্য ডাক্তারদের বুকেও We Demand Justice লেখা ব্যাজ। পুরসভার বৈঠকও করলেন চিকিৎসকরা।
শুধু ব্যাজ পরে নয়, প্রকৃত অর্থেই পাশে থআকলেন তাঁরা। পুরসভার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বার্তায় প্রশ্ন তুললেন, 'কেন আটক করা হল তপোব্রতকে? দুঃখপ্রকাশ করতে হবে পুলিশকে। পুলিশ যাতে দুঃখপ্রকাশ করে, তার জন্য পদক্ষেপ করুক কলকাতা পুরসভা'। শুধু তাই নয়, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ দুঃখপ্রকাশ না করলে পরবর্তী পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেন চিকিৎসকরা।
শহরে যেদিন দ্রোহের কার্নিভাল, সেদিনই প্রতীকী অনশনকারীর ব্যাজ পরে রাজ্য সরকারের কার্নিভালে ডিউটি করতে গিয়েছিলেন কলকাতা পুরসভার চিকিৎসক তপোব্রত। কলকাতা পুরসভার মেডিক্যাল টিমের সদস্য চিকিৎসক তপোব্রত রায়। মঙ্গলবার রাজ্য সরকার আয়োজিত পুজো কার্নিভালের মেডিক্যাল ক্যাম্পে তাঁর ডিউটি ছিল। তাঁর জামায় লেখা ছিল 'শিরদাঁড়া বিক্রি নেই'। পরেছিলেন প্রতীকী অনশনকারীর ব্যাজও। অভিযোগ, ওই ব্যাজ পরে আসার কারণেই কর্তব্যরত অবস্থায় চিকিৎসক তপোব্রত রায়কে আটক করে ময়দান থানার পুলিশ। পরে অবশ্য আন্দোলনকারীদের চাপের মুখে ময়দান থানা থেকে ছাড়া হয় কলকাতা পুরসভার চিকিৎসককে। ছাড়া পেয়ে তপোব্রত সোজা চলে যান ধর্মতলার অনশন মঞ্চে।
চিকিৎসককে আটক করার কড়া ভাষায় নিন্দা করে বিবৃতি দেয় ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য শাখা। বিবৃতিতে লেখা হয়, IMA-র ডাকে প্রতীকী অনশন সমর্থন করলেও তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছিলেন। কলকাতা পুলিশের এই আচরণের চরম নিন্দা জানাই।
আরও পড়ুন :
এদিনই মরা ছেলেকে পুকুরে স্নান করিয়ে ফিরে পেয়েছিলেন সওদাগর ! তারাপীঠে আজ মা-তারার আবির্ভাব তিথি