কলকাতা: রবিবাসরীয় রাজপথে আছড়ে পড়ল প্রতিবাদের ঢেউ। এন আর এস হাসপাতাল থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের। গড়িয়াহাট থেকে রাসবিহারী পথে নামলেন ৫২-টি স্কুলের প্রাক্তনীরা। এই ২ মিছিলেই সামিল হন নিহত তরুণী চিকিৎসকের মা-বাবা। কুমোরটুলিতে প্রতিবাদে সামিল হন শিল্পীরা। হেদুয়ায় বিচার চেয়ে মিছিল করলেন রিকশা চালকরা।                                              


আর জি কর কাণ্ডের ঠিক ১ মাসের মাথায়, সোমবার, সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি। তার আগে রবিবার উত্তর থেকে দক্ষিণ-বিচারের দাবিতে গর্জে উঠল  কলকাতা। এদিন, NRS মেডিক্য়াল কলেজ থেকে ধর্মতলা, সুবিচারের দাবিতে মিছিলের ডাক দেয় জয়েন্ট প্লাটফর্ম ফর ডক্টরসরা। মিছিল শেষ হয় ধর্মতলায়। সেখানে সামিল হন, নিহত তরুণী চিকিৎসকের মা-বাবা। 


সেখানেই কান্নায় ভেঙে পড়েন নির্যাতিতার মা। তিনি বলেন, 'এক অন ডিউটি ডাক্তার এমন নৃশংস ভাবে, চরম অত্যাচারিত হয়ে, সে যখন মা মা করে কাঁদছিল, সেই কান্নাটা আমার প্রাণে রোজ ধ্বনিত হয়। রোজ এখন আমি ভাবি, কত কষ্টে, কত কষ্টে আমার মেয়ের প্রাণটা চলে গেছে। তবে এই যে সবাই আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন,  দেশে-বিদেশে এই যে একটা সোচ্চার উঠেছে, বিচার চাই, বিচার চাই, এটা আমাদের সব থেকে বড় বল।' 


আরও পড়ুন, রেল দুর্ঘটনার বড় ছক! ট্রেন ওড়ানোর চেষ্টা, বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা


প্রতিবাদের স্বর-সুর-কণ্ঠকে কোনও সীমায় কি বাঁধা যায়? তাই তো আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গর্জে উঠল সুদূর লন্ডন বা মার্কিন মুলুকের আরকানসাস। 


সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর মামলার শুনানির আগেই ফের রাত দখল। কলকাতা থেকে জেলা। চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের বিচারের দাবিতে রাজপথে জনগণের গর্জন। গান-কবিতা, পথনাটিকা, রং-তুলি, মোমবাতি-মশাল জ্বেলে হল প্রতিবাদ। রাজপথ হয়ে উঠল ক্যানভাস। শহর থেকে শহরতলি ও জেলায় জেলায় প্রতিবাদে সামিল হলেন বিদ্বজ্জন থেকে সাধারণ মানুষ।                                   



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে