RG Kar Protest: শনিবার সন্ধ্যায় কালীঘাটে ভেস্তে গিয়েছে মুখমন্ত্রী এবং জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্নাস্থলে ফিরে গিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে, আরজি কর হাসপাতালে খুন এবং ধর্ষণ কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আগেই আর্থিক তছরুপের মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। এর সঙ্গেই তথ্য প্রমাণ লোপাট, দেরিতে এফআইআর দায়ের- সহ একাধিক অভিযোগে টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এই প্রসঙ্গে ধর্নামঞ্চে ফেরার ফর আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের এক প্রতিনিধি বলেছেন, 'সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের গ্রেফতার হওয়ার খবরটা ওঁরা পেয়েছেন। তাই আর মিটিং করার সাহস পাননি।' 


আন্দোলনরত ওই জুনিয়র ডাক্তার আরও বলেছেন যে, প্রথম থেকে তাঁরা যে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের দাবি করেছেন সেটা যে সত্যি আজকের এই গ্রেফতারি তা প্রমাণ করে দিল। সেই সঙ্গে তিনি এও বলেন যে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে যে পাঁচ দফা দাবি জানানো হচ্ছে তাও যে যুক্তিযুক্ত সেটাও প্রমাণ করে সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের গ্রেফতারি। এদিন ধর্নামঞ্চ থেকে স্লোগান ওঠে 'দাবি একটাই, দালালি নয় রাজপথ, আপোস নয় সংগ্রাম'। ৩৫ দিন ধরে বিচারের আশায় পথে রয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সুবিচারের জন্য আগামী দিনেও যে পথে থাকতে পিছপা হবেন না তাঁরা এই স্পষ্ট বার্তাও দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এর পাশাপাশি আজ ফের স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা এবং পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে ধর্নামঞ্চ থেকে সরব হন তাঁরা। 


শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্নামঞ্চে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এরপর জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বার্তা দেওয়া হয় যে তাঁরা আলোচনায় বসতে রাজি। শনিবার সন্ধ্যায় তুমুল বৃষ্টি মাথায় করে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছন জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দল। উল্লেখ্য, মুখ্য সচিবের তরফে এই স্থান বৈঠকের জন্য নির্দিষ্ট করে মেল করা হয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের। কিন্তু সেখানেও হল না বৈঠকে। প্রথমে বাধ সাধে বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবি। বৃহস্পতিবার এই একই কারণে নবান্নের সভাঘরে বৈঠক হয়নি। এদিনও সেই সমস্যার সৃষ্টি হয়। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সরকার বৈঠকের ভিডিও রেকর্ডিং করবে। পরে সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়ে তা জুনিয়র ডাক্তারদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তিনি এও বলেন মিটিংয়ের মিনিটসের ব্যবস্থা করা হবে। সেখানে সরকার এবং জুনিয়র ডাক্তার উভয় তরফেরই একজন করে সই করবেন। প্রথমে এই প্রস্তাবে রাজি না হলেও পরে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, মিটিংয়ের মিনিটসের প্রস্তাবেই তাঁরা বৈঠকে বসতে রাজি। কিন্তু তারপরেও হয়নি বৈঠক। কারণ স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে, তাঁরা তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন, আর মিটিং সম্ভব নয়, জুনিয়র ডাক্তারদের কার্যত ঘাড় ধরেই বের করে দেওয়া হয়, বেরিয়ে যেতে বলা হয়- এমনই গুরুতর অভিযোগ করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বৈঠক করার সদিচ্ছা কাদের রয়েছে, আর কাদের নেই, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। 


আরও পড়ুন- আরজি কর কাণ্ডে টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করল সিবিআই