কলকাতা: আর জি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের কাণ্ডে এবার DYFI-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে তলব করল লালবাজার। মীনাক্ষী-সহ SFI এবং DYFI-এর সাত নেতা-নেত্রীকে তলব করেছে পুলিশ। ঘটনার সময় আর জি কর হাসপাতালের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন মীনাক্ষীরা। পুলিশের উপর হামলায় DYFI-এর পতাকা হাতে হামলাকারীরা চড়াও হয়েছিল বলে অভিযোগ। (RG Kar Ransack)


আর জি করে তরুণী চিকিৎসকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় মেয়েদের রাতদখলের সময়ই আর জি কর হাসপাতালে তাণ্ডব চলে। সেই ঘটনায় মীনাক্ষী-সহ সাত জনকে তলব করা হল। ওই রাতে আর জি করে বেশ কয়েক জন পুলিশকে টপকে টপকে হাসপাতালে ঢুকে পড়ে। চলে ব্যাপক ভাঙচুর, হামলা হয় পুলিশের উপরও। বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মীও আহত হন। (Minakshi Mukherjee)


সেই ঘটনায় গতকাল সাংবাদিক বৈঠক করে একটি ভিডিও দেখান কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল। ওই ভিডিও-য় দেখিয়ে দাবি করা হয়, কিছু দুষ্কৃতী পুলিকে টপকে ভিতরে ঢুকতে চেষ্টা চালাচ্ছে। আর পিছনে DYFI-এর পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কয়েক জন। মূল যে ফটক আর জি করের, তার উল্টো দিকে DYFI-এর মঞ্চ বাঁধা হয়েছিল। সারাদিন ধরে কর্মসূচি চলছিল। ওই রাতেও সেখানে ছিলেন DYFI-এর কর্মীরা। সেই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে মীনাক্ষীদের। মীনাক্ষী জানিয়েছেন, তদন্ত সঠিক ভাবে হোক, এটাই চাইছেন তাঁরা। পুলিশের ডাকে অবশ্যই যাবেন। তবে আইনজীবীর পরামর্শ নিয়েই যাবেন তিনি।


হামলাকারীদের DYFI-এর নেতা-নেত্রীরা চেনেন কি না, জানতে চায় লালবাজার। যদি না চেনেন, তাহলে অজ্ঞাত পরিচয় লোকজনকে অপরাধে কেন উস্কানি জোগানো হল পিছন থেকে, তাও জানতে চাওয়া হবে বলে খবর। ইতিমধ্যেই ইমেলে ওই সাত জনকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনি এবং রবিবার বিভিন্ন থানা এলাকায় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।


আর জি করে হামলার নেপথ্যে বিজেপি এবং সিপিএম-এর হাত রয়েছে বলে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, "লজ্জা করে না বিজেপি এবং সিপিএম! অমানবিক ঘটনা নিয়ে দানবিকতা করছেন, তাণ্ডব করছেন। আর জি করে প্রমাণ লোপাট করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভুলক্রমে ফ্লোরটা বদলে গিয়েছিল। থার্ড ফ্লোর বদলে, সেকেন্ড ফ্লোরে চলে গিয়েছিলেন। আর জি করে সিপিএম-বিজেপি ভাঙচুর করেছে। নাটকেও যখন শেষ হয়নি, রাত ১২টার পর DYFI-এর পতাকা নিয়ে যাওয়া হয় এবং বিজেপি জাতীয় পতাকার অপব্যবহার করে।"


আর জি করে তাণ্ডবের ঘটনায় আরও পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সব মিলিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে একজন গ্রেফতারি এড়াতে চুলের ছাঁটও বদলে ফেলেছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।