কলকাতা : SUCI-এর ধর্মঘট ঘিরে জেলায় জেলায় ছড়িয়েছে অশান্তি। পথে নেমেছেন ধর্মঘট সমর্থকরা। অন্যদিকে বনধের প্রভাব যাতে কোনওভাবেই জনজীবনকে বিপর্যস্ত না করে, তার জন্য বদ্ধপরিকর প্রশাসন। সকালের দিকে কলকাতা শহরে একেবারেই প্রভাব ফেলতে পারেনি এসইউসিআইয়ের ডাকা ধর্মঘট। কিন্তু বেলা বাড়তেই কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়ায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি।                     



মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নাকের ডগায় উত্তেজনা ছড়ায় । দক্ষিণ কলকাতার হাজরা মোড়ে সক্রিয় হয়ে ওঠেন ধর্মঘটীরা। তৃণমূলের খাস তালুকে সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল করার জন্য জমায়েত করেন SUCI-এর সমর্থকরা। তাঁদের বেশিরভাগই ছিলেন মহিলা। কিন্তু শুরুতেই মিছিলের পরিকল্পনা ভেস্তে দেয় পুলিশ। ধর্মঘটীদের সরে যেতে বললে শুরু হয় বচসা, ধস্তাধস্তি। পুলিশের সঙ্গে প্রথমে কথা কাটাকাটি ও পরে বচসা বেঁধে যায়। বাধার মুখে রাস্তায় শুয়ে পড়েন SUCI-এর মহিলা সমর্থকরা। তারপরই শুরু হয় ধরপাকড়। ধর্মঘট সমর্থকদের টেনে হিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে বাসে তোলে পুলিশ। ধস্তাধস্তির সময় এক পুলিশ কর্মীও মাটিতে পড়ে যান। পরিস্থিতি হয়ে ওঠে উত্তপ্ত। 

অন্যদিকে, সকাল ১১টা নাগাদ বেহালা ১৪ নম্বর বাসস্ট্যান্ডের সামনে ডায়মন্ড হারবার রোড অবরোধ করেন SUCI-এর সমর্থকরা। একের পর এক গাড়ি আটকে পড়তেই, শুরু হয় পুলিশি তৎপরতা। পুলিশ অবরোধ সরাতে গেলে, দু'পক্ষের মধ্যে বচসা বেঁধে যায়। বৃষ্টির মধ্যেই ধাক্কা দিয়ে, টেনে হিঁচড়ে, ধর্মঘটীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ।  

এদিন, SUCI-র ডাকা ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটে রীতিমতো প্রভাব পড়ে কোচবিহার, দিনহাটায় । পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। আটক করা হয় ধর্মঘটীদের। মাথাভাঙায়ও ছড়ায় উত্তেজনা। ধর্মঘট ঘিরে প্রবল উত্তেজনা ছড়ায় মেদিনীপুর শহরেও। কালেক্টরেট মোড়ে ধর্মঘটীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এছাড়াও প্রতি জেলাতেই বিক্ষিপ্ত অশান্তি শুরু হয়। 


অন্যদিকে, আর জি কর কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে ধর্না কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি।  শ্য়ামবাজার মেট্রো স্টেশনের এক নম্বর গেটের কাছে বৃহস্পতিবারই মঞ্চ বেঁধেছিল গেরুয়া শিবির। শুক্রবার ওই ধর্নামঞ্চে অবস্থানে বসার কথা ছিল রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। মঞ্চ বাঁধার অনুমতি দেয়নি পুলিশ।  বিজেপি যুব মোর্চার দাবি, ভোর পাঁচটাতেও ধর্নামঞ্চে ছিলেন তাঁরা। কিন্তু সকাল ১০টা নাগাদ তাঁরা গিয়ে দেখেন ধর্নামঞ্চ উধাও।বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, পুলিশই মঞ্চ খুলে নিয়ে গেছে। যদিও পুলিশের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।    


 


আরও পড়ুন


বনধ, রাস্তা রোকো, মিছিল ! বিজেপি, SUCI, তৃণমূলের ত্রিফলা কর্মসূচিতে মহানগর হবে অবরুদ্ধ? কোথায় কখন?