সন্দীপ সরকার, পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা : ভয়াবহ। নৃশংস। ভয়ানক। ঘৃণ্য়। কোনও বিশেষণই যথেষ্ট নয়। আর জি করের নির্যাতিতার সঙ্গে যা ঘটেছে, যেভাবে উদ্ধার হয়েছে তাঁর দেহ, তা ভয়াবহ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উঠে এল এমন তথ্য, যা ভাবলেও গা - শিউরে ওঠে। ভয়াবহতা এতটাই যে. শিরদাঁড়ায় বয়ে যায় শীতল স্রোত। জানা যাচ্ছে, নির্যাতিতা শরীরের বাইরে ও ভিতরে বীভৎস সব ক্ষত, যা তৈরি হয়েছে তাঁর মৃত্যুর আগেই। আর তারপর তাঁকে শেষ করে দেওয়া হয়েছে শ্বাসরোধ করে। 



দুই গালে অজস্র ক্ষতচিহ্ন, ঠোঁটের বাইরে, ভিতরে একাধিক আঘাত, ডান দিকের চোয়ালে ক্ষতচিহ্ন, নাক ও ঠোঁটের মাঝের অংশে আঘাতের দাগ। যৌনাঙ্গে, ঘাড়ে, গলায়, কাঁধে, হাতে, বাঁ পায়ের হাঁটু - সর্বত্র গভীর ও ভয়াবহ ক্ষত। রক্তক্ষরণের চিহ্ন রয়েছে খুলির নীচে ও ফুসফুসে। আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের ময়নাতন্তের রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে আসছে।


ময়নাতন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, হাত দিয়ে শ্বাসরোধের ফলে মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি নাক-মুখ চাপা দিয়েও শ্বাসরোধ করা হয়েছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে শ্বাসরোধ করার কারণে মৃত্যু। মৃত্যুর ধরন খুন। যৌন নির্যাতনের প্রমাণও মিলেছে। মৃতদেহ ব্যবচ্ছেদের পর যে সমস্ত আঘাতের প্রমাণ মিলেছে, সেগুলির সবক'টিই মৃত্যুর আগের বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন তদন্তকারী চিকিৎসকরা। 


ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ভিসেরা পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে রক্ত, মাথার চুল, নখ ও আরও একাধিক নমুনা। এই রিপোর্টের কথা শুনে চিকিৎসক মহলের একাংশের বদ্ধমূল ধারণা এ কাজ একা কারো হতে পারে না। এখনও পর্যন্ত নির্যাতিতার খুন - ধর্ষণের ঘটনায় ১ জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে, সে সঞ্জয় রায়। নির্যাতিতার পরিবারের সন্দেহ, এতে জড়িত আছে আরো কেউ, ভেতরের কেউ। সিবিআই য়ের ব়্যাডারে কি আসছে এমন কোনও মুখ? জানা যেতে পারে অদূর ভবিষ্যতে।  


আরও পড়ুন : মহানগরে আকাশ ভাঙা বৃষ্টি, মঙ্গলে কোন কোন জেলায় দুর্যোগের অশনিসঙ্কেত?