রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: ফের সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৩ জনের (Accident Kills 3)। এবার ঘটনাটি ঘটেছে ময়নাগুড়ি (Maynaguri) উল্লাডাবরিতে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, জনা কুড়ি শ্রমিক (Laborers) একটি ট্রেলারে করে কাজ করতে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই একটি লরির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ট্রেলারটির।


দুর্ঘটনায় কাড়ল প্রাণ...
উল্লাডাবরি এলাকায় এই দুর্ঘটনায় হইচই পড়ে যায়। প্রাথমিক ভাবে এক জনের মৃত্যুর খবর জানা গেলেও পরে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় প্রশাসন। জখম অনেকে। তাঁদের জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এই ধরনের দুর্ঘটনা রাজ্যে নতুন নয়। উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক পরিণতির খবর উঠে আসে। তার পরও কি যথেষ্ট সতর্ক নয় প্রশাসন? কোথায় গাফিলতি থাকছে যাত্রীদের? গত কালও যেমন হাওড়ার ডোমজুড়ে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এক তরুণের। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পারে, গড়ফা থেকে বাইকে করে দক্ষিণেশ্বরের দিকে যাচ্ছিলেন ওই দুই তরুণ। পিছন থেকে কোনও একটি গাড়ি তাঁদের বাইকে ধাক্কা মারে। তাতেই এই মর্মান্তিক পরিণতি। তবে এখনও সেই গাড়ির গত কাল কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়ির ধাক্কায় বাইকটি ব্রিজ থেকে নিচে পড়ে যাওয়ায় মারা যান বিশাল ধাঁড়া নামে এক তরুণ। ভোরের দিকেই নাগাদ দুজনকেই উদ্ধার করে হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। জখম দ্বিতীয় তরুণ গত কাল থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডোমজুড় থানার পুলিশ।


আগেও দুর্ঘটনা...
ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ার দিকেই বেসরকারি বাস ও লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে জখম হয়েছিলেন অন্তত ২০ জন। হেমতাবাদ থানার বাঙ্গালবাড়ি মোড় এলাকায় ওই ঘটনাটি ঘটেছিল। জখমদের রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসা হয়। বাস ও লরি, দুটিরই চালক পলাতক। তবে সে বার অন্তত বিপদগ্রস্ত যানদুটি আটক করে হেমতাবাদ থানার পুলিশ। ওই ঘটনার দিনতিনেক আগেই ধূপগুড়িতে এশিয়ান হাইওয়ের ওপর পণ্যবোঝাই দুটি লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটেছিল। আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় কয়লা বোঝাই একটি লরি। জখম চালক ও খালাসিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ধূপগুড়ির গিলান্ডি ব্রিজ লাগোয়া এশিয়ান হাইওয়ের উপর কয়লা বোঝাই লরির সঙ্গে পেঁয়াজ বোঝাই একটি লরির সংঘর্ষে আগুন লাগে কয়লা বোঝাই লরিটিতে। দমকলের একটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ভয়ঙ্কর ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ এশিয়ান হাইওয়েতে যান চলাচল বন্ধ ছিল। আবার জানুয়ারি মাসের শেষ দিনে মালদা থেকে গাজোল যাওয়ার পথে পাণ্ডুয়ার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি যাত্রীবোঝাই বাস। তাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল দুজনের। আহতদের ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। তাঁদের মধ্যে ২০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।


আরও পড়ুন:'স্তাবকতা সম্ভব নয়', পোস্ট এই বঙ্গ কংগ্রেস নেতার, ভাঙন এবার হাত শিবিরেও ?