আসানসোল : ইডির (Enforcement Directorate) দায়ের করা গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) এবার গ্রেফতার জেলবন্দি সায়গল হোসেন (Saigal Hossain) । আসানসোল জেলে জেরার পর গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী। চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেরার পর গ্রেফতারির সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সংস্থার। সায়গলকে আদালতে পেশ করার আবেদন ইডি-র। এর আগে আজ সকালে সায়গলকে জেরার জন্য আসানসোল জেলে পৌঁছন ইডি আধিকারিকরা। দিল্লি থেকে জেরার জন্য উড়ে আসেন ৩ ইডি আধিকারিক।
সিবিআইয়ের পর এবার ইডি-
গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে দাবি, তদন্তে নেমে, অনুব্রত মণ্ডলের বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের ফ্ল্যাট, বাড়ি, জমি মিলিয়ে যে পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, তা একজন রাজ্য পুলিশের কনস্টেবলের আয়ের সঙ্গে মোটেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। যার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, এই সম্পত্তি কি সায়গলের ? নাকি তাঁর নামে অন্য কেউ সম্পত্তি কিনেছে ? এই বিপুল টাকার উৎস কী ? এবার তা নিয়ে সক্রিয় আরেক কেন্দ্রীয় এজেন্সি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আজ জেলে গিয়ে সায়গল হোসেনকে জেরা করে ED। আসালসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত সেই অনুমতি দেয়।
১৫ সেপ্টেম্বর CBI’এর রিমান্ড লেটারে দাবি করা হয়, অনুব্রতর দেহরক্ষীর মাধ্যমেই গরু পাচারের টাকা বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে গেছে এবং বেনামি সম্পত্তি কেনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে দাবি, সায়গলকে গিয়ে জেরা করে তাঁর সম্পত্তি, টাকার উত্স ও বেআইনি লেনদেন সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবে ED।
এরপর আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে সেই আবেদন করে ইডি। যা মঞ্জুর হয়। সম্প্রতি সায়গলকে আদালতে পেশ করা হয়। আইনজীবী না থাকায় তিনি জামিনের আবেদন করেননি। ৫ নভেম্বর পর্যন্ত সায়গলকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
আরও পড়ুন ; '১৮ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট', গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে CBI চার্জশিট