রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: দিন ১৫ ধরে সল্টলেকে বাড়িতে আটকে ছিলেন বছর ৭৫ এর বৃদ্ধ। স্থানীয়দের দাবি, দরজায় বাইরে থেকে তালা মেরে মেয়ে কাজের খোঁজে দিল্লিতে গিয়েছেন। অবশেষে শনিবার বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশের উদ্যোগকে বৃদ্ধকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।                                                                                           


কাজের খোঁজে মেয়ে দিল্লিতে বাড়িতে ১৫ দিন ধরে তালাবন্দি বৃদ্ধ বাবা। কোনওরকমে দোতলা থেকে ঝোলানো বালতিতে করে পাঠানো হচ্ছে খাবার। এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয় সল্টলেকের বিডি ব্লকের ২৫০ নম্বর বাড়িতে। ইনি সুনীল দত্তগুপ্ত। বয়স ৭৫  বছর। একসময় চাকরি করতেন কৃষি দফতরে। 


স্থানীয়দের দাবি, সুনীল দত্তগুপ্তকে বাইরে থেকে তালা মেরে, কাজের খোঁজে দিল্লিতে গিয়েছেন মেয়ে সর্বানি দত্তগুপ্ত। মেয়ের সঙ্গে ৪-৫ দিন আগে যোগাযোগ করা হলেও তারপর থেকে তাঁর মোবাইল সুইচড অফ।


আরও পড়ুন, রাস্তায় কেঁদে ভাসাচ্ছেন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, 'গ্রিন করিডর' করে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দিল কলকাতা পুলিশ


বৃদ্ধকে নিয়ে উদ্বেগে প্রতিবেশীরা। এই পরিস্থিতিতে, স্থানীয় কাউন্সিলরের উদ্যোগে দোতলায় দড়ি বেঁধে বালতিতে করে বৃদ্ধের কাছে খাবার ও জল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশের তরফ থেকে তাঁকে উদ্ধার করার চেষ্টা করা হলেও বৃদ্ধ তাতে আপত্তি জানান।                              


অবশেষে শনিবার পুলিশের উদ্যোগে বৃদ্ধকে উদ্ধার করে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কোথায় রয়েছেন বৃদ্ধার মেয়ে? কেন বাবাকে তালাবন্দি করে রেখে গিয়েছেন? কেনই বা তাঁর ফোন সুইচড অফ? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ।