কলকাতা: তুরস্কের (Turkey) ভূমিকম্প (Earthquake) বিপর্যয় যেতে না যেতেই এবার ভূকম্পে কেঁপে উঠল জাপান (Japan)। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬.১। শনিবার রাতে হঠাৎই জাপানের হোক্কাইডোতে ভূমকম্প অনুভূত হয়। মার্কিন জিওলজিকাল সংস্থা এবং জাপানের আবহাওয়া দফতরের তরফে জানান হয়েছে, রাত ১০.২৭ মিনিট নাগাদ প্রায় ৪৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই ভূমিকম্পটি হয়েছে। 


চিন্তার বিষয় হল জাপানের উপকূলীয় দুই শহর কুশিরো এবং নেমুরোতেও এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।                     


জাপানের মিডিয়ার তরফে জানান হয়েছে এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। 'উদিত সূর্যের দেশে' এমন ভূমিকম্প নতুন না হলেও সাম্প্রতিক সময়ে ভূমিকম্পের তীব্রতা-বিপর্যয় দেখে ত্রস্ত বিশ্ববাসী। 


জাপানের  ব্রডকাস্টার এনএইচকে-তে এক বিশেষজ্ঞ জানান যে প্রায় এক সপ্তাহ ধরেই এই ভূমিকম্পের জন্য সতর্ক থাকতে বলা হয়েছিল। কম্পন যে আসতে চলেছে তা আগেই কিছুটা আঁচ করতে পেরেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। 


আরও পড়ুন, যে কোনও সময় কেঁপে উঠতে পারে আমাদের পায়ের তলার মাটিও, পরিস্থিতি হতে পারে ভয়াবহ !


প্রসঙ্গত জাপান এমনিতেই ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। প্রশান্ত মহাসাগরীয় "রিং অফ ফায়ার"-এর মধ্যে এই দেশের অবস্থান। এই 'রিং অফ ফায়ার' আদতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অববাহিকা জুড়ে বিস্তৃত একটি রেখা। যা অত্যন্ত অ-স্থিতিশীল। ফলে মাঝে মধ্যেই ভূমিকম্প এবং এর আফটার শক দেখা দেয় জাপানে। সেই মতো এই দেশের বিল্ডিংগুলিও তৈরি করা হয়েছে। ভূকম্প সহ্য করতে পারে এমন শক্তিশালীভাবেই তৈরি করা হয়ে থাকে বিল্ডিংগুলি। 


এদিকে, বিপর্যের ক্ষত এখনও শুকোয়নি। তার মধ্যেই গত সপ্তাহে আবার কেঁপে উঠল তুরস্ক। কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪। প্রথমবার কম্পনের ৩ মিনিটের মাথায় ফের কেঁপে ওঠে তুরস্কের মাটি। দ্বিতীয় কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৮। সোমবারের ভূমিকম্পে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। আহত হয়েছেন অন্তত ২১৩ জন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল সিরিয়া এবং তুরস্ক। ৪১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ।