কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, সল্টলেক (কলকাতা): করোনা বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ। অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বাইরে বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী। সরকারি প্রতিশ্রুতি পরেও চাকরি হয়নি বলে দাবি বিক্ষোভকারীদের। অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির দাবি, ‘যাঁরা যোগ্য তাঁরা সকলেই চাকরি পেয়েছেন।  ১৬৫০ শূন্য পদে নিয়োগ হয়েছে। ৭৩৮ পদে এখনও নিয়োগ হয়নি।’


অন্যদিকে "নিয়োগের সুপারিশ আরও একটু স্বচ্ছ হলে ভাল হয়।'' বিস্ফোরক মন্তব্য এসএসসি-র (SSC) বিদায়ী চেয়ারম্যান শুভশঙ্কর সরকারের। এদিন নতুন চেয়ারম্যানকে (Chairman) দায়িত্ব বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, "যে সময় ঘটনাটি ঘটে, আমি ছিলাম না। নিয়োগের সুপারিশ আরও একটু স্বচ্ছ হলে ভাল হয়।'' এর প্রেক্ষিতে এসএসসি-র নতুন চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, "আগামী দিনে লক্ষ্য থাকবে, যাতে স্বচ্ছভাবে নিয়োগ হয়। অতীতে ভুল হয়ে থাকলে, দায়িত্ব নিতে হবে সমাধানের।''


কলকাতা হাইকোর্টের সুপারিশের পর অপসারিত হন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান শুভশঙ্কর সরকার। চলতি সপ্তাহে সিদ্ধার্থ মজুমদারকে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার স্কুল শিক্ষা দফতর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, সিটি কলেজের অধ্যাপক সিদ্ধার্থ মজুমদার কেন্দ্রীয় স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।  আজ নতুন দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে দফতরে যান শুভশঙ্কর সরকার। এরপরই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর দাবি ঘটনাটি যে সময় ঘটে সেই সময়ে দায়িত্বে তিনি ছিলে না। 
সোমবারই এসএলএসটি-র নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগ বিতর্কে এসএসসি-র চেয়ারম্যানকে অপসারণের সুপারিশ করে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশও দেয় হাইকোর্ট। এরপরই সরকার নীতিগত ভাবে চেয়ারম্যানে বদলের সিদ্ধান্ত নেয়। মঙ্গলবার নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। প্রথম দফায় যখন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন ব্রাত্য বসু, তখন কলেজ সার্ভিস কমিশনের দায়িত্বে আসেন সিদ্ধার্থ মজুমদার। দ্বিতীয় দফায় ব্রাত্য বসু শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার পর এবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের দায়িত্বে এলেন সিটি কলেজে অর্থনীতির অধ্যাপক। 


অপসারিত শুভশঙ্কর সরকার প্রেসিডেন্সির প্রাক্তন অধ্যাপক। বর্তমানে তিনি নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন ২০২০ সালে ডিসেম্বরে তিনি এসএসসি চেয়ারম্যান হন। সূত্রের দাবি, নিয়োগ নিয়ে বিতর্কের চলাকালীন তিনি অব্যহতি চেয়েছিলেন। সরকারি সূত্রে খবর, অপসারিত এএসসি চেয়ারম্যানকে অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদে আনার চিন্তা ভাবনা করছে সরকার।