কলকাতা: বালি পাচার মামলায় ধৃত অরুণ শরাফের ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইডি হেফাজত।'বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, গোটাটাই সংগঠিত অপারেশন', বালি পাচার মামলায়, আদালতে বিস্ফোরক দাবি করেছে ED। 

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, '২০০২-র তালিকায় ছিল না ২ স্ত্রীর নাম', ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানোর ভয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ এবার জলপাইগুড়িতে!

Continues below advertisement

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, 'GD মাইনিং কোম্পানিতে এমন অনেক ডিরেক্টর ছিলেন, যাঁরা শুধু নামেই ছিলেন ডিরেক্টর।  পূর্ব মেদিনীপুরে ৩টি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম আর বাঁকুড়াতেও সাইট আছে এই কোম্পানির। সংস্থার কাছ থেকে বালি বিক্রি বা রয়্যালটির পুরো হিসেবে এখনও পাওয়া যায়নি।'গতকাল বালি পাচার মামলায় প্রথম গ্রেফতার করে ED। গ্রেফতার করা হয় জি ডি মাইনিং কোম্পানির প্রধান অরুণ শরাফকে। ২৯ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্তও করা হয়েছে, খবর ED সূত্রে। ভুয়ো চালান তৈরি করে বালি পাচারের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। 

গতকাল বালি পাচার মামলায় প্রথম গ্রেফতার করে ED। গ্রেফতার করা হয় জি ডি মাইনিং কোম্পানির প্রধান অরুণ শরাফকে। ২৯ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্তও করা হয়েছে, খবর ED সূত্রে। ভুয়ো চালান তৈরি করে বালি পাচারের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। ভুয়ো চালান তৈরি করে চলছিল বালি পাচার!রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চলছিল কোটি কোটি টাকার কারবার! ইডির তদন্তে অবশেষে পর্দাফাঁস! বালি দুর্নীতির তদন্তে ইডির হাতে প্রথম গ্রেফতার GD মাইনিং সংস্থার প্রধান অরুণ শরাফ। বালি দুর্নীতির তদন্তে বৃহস্পতিবার তাঁকে ডাকা হয় সিজিও কমপ্লেক্সে!জিজ্ঞাসাবাদের পর অরুণ শরাফকে গ্রেফতার করে ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর। 

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে এই মামলায় তদন্তে অভিযান চালিয়েছিল ইডি। কলকাতা, ঝাড়গ্রাম, নদিয়ায়  ওই সংস্থার এদাধিক অফিস ও GD মাইনিং কর্তার একাধিক ঠিকানায় চলে তল্লাশি। ED-সূত্রে খবর, GD মাইনিং সংস্থা ভুয়ো ই-চালান বানিয়ে দিনের পর দিন বালি পাচার চালিয়ে গেছে। গতবছর ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের মার্চ মাস, এই চার মাসেই এভাবেই সাড়ে ৯ কোটির বেশি লেনদেন করেছে ওই সংস্থা। তদন্তে নেমে ED জানতে পেরেছে, GD মাইনিং সংস্থার পূর্ব মেদিনীপুরে ৩ টি সাইট আছে। এর পাশাপাশি ওই সংস্থার সাইট রয়েছে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়াতেও। 

ইডির দাবি, এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, সংগঠিত অপরাধ! বালি নিয়ে প্রায় ৭৮ কোটি টাকার দুর্নীতির সঙ্গে তিনি জড়িত বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ED-র আইনজীবী   অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, এখনও পর্যন্ত আমরা যেটুকু পেয়েছি, ৭৮ কোটি টাকার কারচুপি পেয়েছি। আর্থিক তছরূপের অভিযোগ। উদ্ধার হয়েছে নগদ ২৯ লক্ষ টাকা।' তাদের দাবি, তাঁর কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণও মিলেছে। এ বিষয়ে জেরা করার জন্য ১৪ দিন তাঁকে নিজেদের হেফাজতে চেয়েছিল ইডি। আপাতত এক দিনের হেফাজত মঞ্জুর করা হয়েছে।