কলকাতা: বালি পাচার মামলায় প্রথম গ্রেফতার ইডির। গ্রেফতার করা হয়েছে জি ডি মাইনিং কোম্পানির প্রধান অরুন শরাফ-কে। বালি থেকে গ্রেফতার হয়েছে তাঁকে,সূত্রের খবর। ভুয়ো চালান তৈরি করে বালি পাচারের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরে তল্লাশি চালায় ইডির। একাধিক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। 

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, শ্মশানে দাহ করতে ২০০০ টাকা করে দেয় রাজ্য, 'কতজন এই সুবিধা নিয়েছেন ?' মৃত ভোটার খুঁজতে এবার খতিয়ে দেখছে কমিশন

Continues below advertisement

সম্প্রতি বালি পাচার তদন্তে একযোগে কলকাতা, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমানের ৭ জায়গায় অভিযান চালিয়েছিল ED. বালি ব্যবসায়ীদের বাড়িতে-অফিসে চলেছিল তল্লাশি। ঝাড়গ্রামে বালি কারবারি সৌরভ রায়ের বাড়ি ও খাদানে হানা। কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ। আসানসোলে সরকারি টেন্ডারপ্রাপ্ত বালি ব্যবসায়ীর বাড়িতেও চলেছিল অভিযান। উদ্ধার ৩৪ লক্ষ টাকা। কলকাতা , সুমিত্রাপুর, গোপীবল্লভপুর, চর্চিতা, গোপীবল্লভপুর, লালগড়, আসানসোল। বালি পাচারকাণ্ডের তদন্তে ফের অ্যাকশনে Enforcement Directorate। একযোগে রাজ্যের ৩ জেলার ৭ জায়গায় অভিযান চালিয়েছিলেন ED অফিসাররা। আসানসোলে এক এক বালি ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৩৪ লক্ষ টাকা। বৃহস্পতিবার কলকাতার বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের সুমিত্রাপুর, গোপীবল্লভপুরের চর্চিতা, জিডি মাইনিংয়ের গোপীবল্লভপুরের অফিস, লালগড়ের সিজুয়া, আসানসোলে বালি ব্যবসায়ীর বাড়ি এবং আসানসোলে বালি ব্যবসায়ীর অফিস। এদিন সাত সকালে বালি পাচারের তদন্তে ঝাড়গ্রামের ৪ জায়গায় হানা দিয়েছিল ED. গোপীবল্লভপুরের সুমিত্রাপুরে বালি ব্যবসায়ী সৌরভ রায়ের বাড়ি ও অফিসে হানা দিয়েছিল ED আধিকারিকরা। ঘটনার সময় সৌরভ রায় বাড়িতে ছিলেন না। গতমাসেই ব্যবসায়ীর মেদিনীপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি।  মেলে ৬৫ লক্ষ টাকা। ঝাড়গ্রামে বালি খাদানকর্মী শেখ জহিরুল আলির বাড়ি থেকে পাওয়া যায় ২৫ লক্ষ টাকা। সেই সূত্র ধরেই তল্লাশি বলেছিল ED সূত্রে খবর। গোপীবল্লভপুরের চর্চিতায় সৌরভ রায়ের একটি খাদান ছিল। সেখানেও সকালে হানা দিয়েছিলেন ED আধিকারিকরা। 

GD মাইনিংয়ের গোপীবল্লভপুরের অফিসেও তল্লাশি করেছিলেন ED-র তদন্তকারীরা। খতিয়ে দেখা হয় বেশ কিছু নথি। লালগড়ের সিজুয়ায় ছিল সৌরভ রায়ের আর একটি বালি খাদান। তদন্তকারীদের তল্লাশি থেকে বাদ যায়নি সেই জায়গাও। বালি খাদানের অফিসের একটি ঘরের তালা ভেঙে তল্লাশি চালিয়েছিল ED. খাদান বৈধ। কিন্তু, সেখানে যেভাবে বালি তোলা হচ্ছিল তা অবৈধ। এই অভিযোগে, পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে বালি ব্যবসায়ীর বাড়িতেও অভিযানে নেমেছিল ED. সকাল ৬টা থেকে আধা সেনাকে সঙ্গে নিয়ে বালি ব্যবসায়ী মণীশ বাগাড়িয়ার বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছিল ১০ থেকে ১২ জন তদন্তকারীরা। ED সূত্রে খবর, ব্যবসায়ী বাড়িতে না থাকলেও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল ৩৪ লক্ষ টাকা। বাড়ির পাশাপাশি, বালি ব্যবসায়ীর অফিসেও চলেছিল তল্লাশি। ক্যাশ কাউন্টিং মেশিন। মেশিন নিয়ে যায়। সুবিশাল বাডড়ি। বালি পাচারের তদন্তে জেলার পাশাপাশি কলকাতার বেন্টিং স্ট্রিটেও অভিযান চালিয়েছিল ED.