সন্দেশখালি: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Chaos) শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির বাড়ি ভাঙচুর। অভিযোগ, বাড়িতে ঢুকে তৃণমূল নেতার উপর চড়াও হন স্থানীয়রা। তাঁকে মারা হয়েছে বলে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকারকে অভিযোগ করেন অজিত মাইতি।


অজিত মাইতির বাড়ি ভাঙচুর: ৫০ দিনের মাথায় এখনও নাগালের বাইরে শেখ শাহজাহান। ৫ জানুয়ারি ED এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলার পর থেকে এখনও খোঁজ নেই সন্দেশখালির দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের। এরই মধ্যে সন্দেশখালির বেড়মজুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। অভিযোগ শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা জমি দখল করে মাছের ভেড়ি বানিয়েছেন। তার মধ্যে একাংশ অজিত মাইতির বাড়িতে হামলা চালান। অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা চড়াও হন অজিত মাইতির উপর। যদিও তৃণমূল নেতার স্ত্রীর দাবি, গ্রামবাসীদের অভিযোগ মিথ্যে। এদিন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ অজিত মাইতির বাড়িতে যান।তৃণমূল নেতার স্ত্রীর কাছে জানতে চান কী হয়েছে। অজিত মাইতির স্ত্রী জানান, আচমকা একদল মানুষ আসেন আর ভাঙচুর চালান। বাড়িতে মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ।               


বেড়মজুরে দফায় দফায় উত্তেজনা: শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ সিরাজউদ্দিনের ভেড়িতে ভাঙচুর, জ্বালিয়ে দেওয়া হল ভেড়ির ঘর। রাস্তায় আগুন জ্বেলে, গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রতিবাদ দেখান গ্রামবাসীদের। গ্রামে টহল দেন রাজ্য পুলিশের ডিজি ও এডিজি দক্ষিণবঙ্গের।ভাঙচুর-হামলার অভিযোগে গ্রেফতার হন বেশ কয়েকজন। ধৃতদের নিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ।পুলিশের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি এমন পর্যায় পৌঁছয় যে, বেড়মজুরে জারি ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। মাইকে প্রচার শুরু করে পুলিশ। এদিন সুপ্রতিম সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আইন হাতে তুলে নিলে গ্রেফতার করা হবে। পাশাপাশি অজিত মাইতির বিরুদ্ধে সকাল থেকে যেসব অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান এডিজি দক্ষিণবঙ্গ। সেই অভিযোগ সত্যি হলে অজিত মাইতিকেও গ্রেফতার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন সুপ্রতিম সরকার। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।   


আরও পড়ুন: Sandeshkhali Chaos : সন্দেশখালিতে আজও লাঠি হাতে রুদ্রমূর্তি মহিলাদের , পরীক্ষার্থীকে আটকের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে