সন্দেশখালি: বেড়মজুর (Sandeshkhali Chaos) এলাকায় শেখ সিরাজউদ্দিন ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে দফায় দফায় জনরোষ। গতকাল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য শঙ্কর সর্দারের বাড়ি ভাঙচুর করেন মহিলারা। এরপরই ঝাউতলা আদিবাসী পাড়ায় তৃণমূল নেতার বাড়ির উঠোনে বসল পুলিশ পিকেট। নজরদারি চলছে সিসি ক্যামেরায়।


কড়া নজরদারি বেড়মজুরে: গতকাল দফায় দফয়া উত্তেজনা ছড়ায় সন্দেশখালিতে। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িও ভাঙচুর করা হয়। ঘটনায়  আতঙ্কে বাড়ি ছাড়া তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য শঙ্কর সর্দারের পরিবার। এরইমধ্যে শঙ্কর সর্দারের বাড়ির সামনে বসল পুলিশ পিকেট। পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি কাছারিপাড়ায় ধৃত তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির বাড়ির কাছে বসানো হয়েছে ৩টি সিসি ক্য়ামেরা। এর মধ্যে একটি ক্যামেরা রয়েছে অজিতের বাড়ির দিকে তাক করে, দ্বিতীয়টি কলাগাছি নদীর দিকে, এবং ৩ নম্বর সিসি ক্যামেরাটি শঙ্কর সর্দারের বাড়ি যাওয়ার রাস্তার দিকে মুখ করে বসানো হয়েছে। ঝুপখালির বটতলা এলাকাতেও বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। 


কী ঘটেছিল?                              


রবিবার অজিত মাইতির পর সোমবার তৃণমূল নেতা শঙ্কর সর্দারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ আছড়ে পড়ে সন্দেশখালির বেড়মজুরে। বেড়মজুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যের বাড়িতে ভাঙচুর চালান গ্রামবাসীরা। তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে শঙ্কর সর্দারের বাড়ি। গতকাল সকালে, আচমকা কলাগাছি নদীর পাশে ঝাঁটা, লাঠি, চটি হাতে জড়ো হতে শুরু করেন মহিলারা। এরপরই তৃণমূল নেতা শঙ্কর সর্দারের বাড়ি ঘিরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। বাড়ির চালা ভেঙে ফেলার চেষ্টা হয়। ঘরে ঢুকে বাসন পত্র ছুঁড়ে ফেলে দেন গ্রামবাসীরা।দরজায় লাথি মারতে দেখা যায় মহিলাদের। দরজা ভেঙে ফেলেন তারা।জলের কলসি থেকে বাসনপত্র সব এক এক করে ছুঁড়ে ফেলেন মহিলারা। তছনচ করে দেওয়া হয় রান্নাঘর। ভেঙে ফেলা হয় বাড়ির বেড়া। এরপর, ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ভাঙচুরের অভিযোগে কয়েকজনকে আটক করা হয়।                              


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: South Bengal Weather: মঙ্গলের সকালে মুখভার আকাশের, দফায় দফায় ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ