সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : ১২ দিন পেরিয়ে গিয়েছে সন্দেশখালিকাণ্ডের। এখনও অধরা শেখ শাহজাহান। তদন্ত করতে  প্রস্তুত, হাইকোর্টে জানাল সিবিআই। একই সঙ্গে রাজ্যের তরফে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আদালতে সিবিআই বলল, ' সিট গঠনের পূর্ব অভিজ্ঞতা সন্তোষজনক নয়'। 


তৃণমূলের দোর্দন্ডপ্রতাপ নেতা শেখ শাহজাহানকে এখনও ছুঁতেই পারেনি পুলিশ! বুধবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বললেন, আমি এখনও আশা করি এই মামলার রায়দানের আগেই শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করবে পুলিশ। 


বুধবার সন্দেশখালি মামলায়  আদালতে সওয়াল জবাবের সময় শেখ শাহজাহানের সঙ্গে লাদেনের তুলনা করে সিবিআই। শেখ শাহজাহানের সঙ্গে ওসামা বিন লাদেনের তুলনা টেনে সিবিআই বলে, 'লাদেনের মতোই অনুগামীদের একসঙ্গে অডিও বার্তা পাঠান শেখ শাহজাহান। বিভিন্ন সময়ে অডিও বার্তা পাঠিয়ে অনুগামীদের একত্রিত হওয়ার নির্দেশ দিতেন শেখ শাহজাহান' হাইকোর্টে বললেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।        


পাশাপাশি ইডি আদালতে জানিয়েছে, 'রেশন দুর্নীতি মামলায় শেখ শাহজাহান এখনও সন্দেহভাজন, যদি মনে হয় তাহলে গ্রেফতার করা হবে'। বিচারপতি তখন প্রশ্ন করেন, 'ইডি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে গ্রেফতার করতে পারেনি, পুলিশ ১২ দিনেও পারেনি। কীভাবে আশা করছেন যে সিবিআই পারবে?' এদিন শুনানি চলাকালীন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সিবিআই ও রাজ্যের এক এসপি পদমর্যাদার আধিকারিকের নাম চান। সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, এখনও এসপি পদমর্যাদার আধিকারিকের নাম আসেনি। 


এদিকে মঙ্গলবার হাইকোর্টের নির্দেশের পর রাতারাতি শেখ শাহজাহানের বাড়ি ও সরবেড়িয়ায় শেখ শাহজাহান মার্কেট কমপ্লেক্সে বসল সিসি ক্যামেরা। তৃণমূল নেতার আকুঞ্জিপাড়ার বাড়িতে তিনটি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। শেখ শাহজাহানের বাড়ির পাশেই তাঁর ভাই শেখ আলমগিরের বাড়ি। সেখানেও ব্যক্তিগত উদ্যোগে সিসি ক্যামেরা বসিয়েছেন তৃণমূল নেতার ভাই। সরবেড়িয়া বাজারের কাছে তৃণমূল নেতার নামে শেখ শাহাজাহান মার্কেট কমপ্লেক্স। তার দোতলায় রয়েছে তৃণমূল নেতার অফিস। সেখানে কারা যাতায়াত করছেন? নজরদারি করতে বসানো হয়েছে চারটি সিসি ক্যামেরা। 


অন্তর্ধান-রহস্যের মাঝেই সোমবার আইনজীবী মারফত মামলায় যুক্ত হওয়ার আবেদন করেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে ফের জানান, পার্টি হতে চান না তিনি। এত কিছুর পরও পুলিশ তাঁর হদিশ পায়নি।  


আরও পড়ুন :


অন্য দল সভা করতে পারলে ISF কেন নয় ? প্রশ্ন বিচারপতির