সন্দেশখালি, উত্তর ২৪ পরগনা: বেড়মজুর, ঝুপখালির পর এবার কানমারি। সন্দেশখালিতে ফের একবার উঠল অভিযোগ। এবার নতুন এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেন গ্রামবাসীরা। 


কী অভিযোগ? 
ন্যাজাট থানা (Najat Police) এলাকায় বয়ারমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের কানমারিতে সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর অফিসের পিছনে মাঠ দখল করে দোকানঘর বানানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল পঞ্চায়েত (TMC Leader) সদস্যার স্বামী, তৃণমূল নেতা শান্তনু জানার বিরুদ্ধে। এদিন মাঠের পাঁচিল ভেঙে দিলেন মহিলারা। সন্দেশখালিজুড়ে (Sandeshkhali Incident) শেখ শাহজাহান দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। তাঁর নাম করেই ভয় দেখাতেন শান্তনু জানা। বিধায়ক সব জেনেও চুপ, দাবি গ্রামবাসীদের। ঘটনাস্থলে রয়েছে ন্যাজাট থানার পুলিশ। 


শেখ শাহজাহান একা নন, এবার তাঁর ভাই ও শাগরেদদের গ্রেফতারি চেয়ে বেড়মজুরের ঝুপখালিতে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। শেখ শাহজাহান ও তাঁর ভাই শেখ সিরাজউদ্দিনকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন মহিলারা। এদিন দল বেঁধে অভিযোগ জানাতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। ১৪৪ ধারা জারি থাকার যুক্তি দেখিয়ে পুলিশ মহিলাদের বাধা দিলে উত্তেজনা ছড়ায়। শেখ শাহজাহান, শেখ সিরাজউদ্দিন এবং বেড়মজুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান হাজি সিদ্দিক মোল্লার বিরুদ্ধে জমি দখল, ভোট লুঠ, নারী নির্যাতন, বুলডোজার দিয়ে বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার ভুরিভুরি অভিযোগ রয়েছে। অশান্তির আশঙ্কায় নামানো হয়েছে র‍্যাফ। 


৫৫ দিন ধরে অধরা শেখ শাহজাহান (Sheikh Shajahan)। পুলিশ নাগাল পায়নি তাঁর ভাই শেখ সিরাজউদ্দিনেরও। অবিলম্বে ২ জনকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন বেড়মজুরের বটতলা এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশ না ধরলে তাঁরা ফের আন্দোলনে নামবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) আগে তাঁদের হুমকি দিয়েছিলেন বেড়মজুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান হাজি সিদ্দিক মোল্লা। ভোট না দিলে হাতে গুজরাতের টিকিট ধরিয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। শেখ শাহজাহান ও তাঁর বাহিনী এভাবেই ভোট লুঠ করেছিল বলে অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা। 


এদিনই X হ্যান্ডেলে শুভেন্দু বিস্ফোরক দাবি করেছেন:
তিনি লিখেছেন, 'সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান গতকাল রাত ১২টা থেকে মমতা পুলিশের সেফ কাস্টডিতে রয়েছে। তাঁকে বেড়মজুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রভাবশালী এক মধ্য়স্থতাকারীর মাধ্যমে মমতা পুলিশের সঙ্গে রফা হয়েছে, যে, পুলিশ এবং বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর (শেখ শাহজাহানের) যথাযথ যত্ন নেওয়া হবে। জেলবন্দি অবস্থায় তাঁকে পাঁচ তারা সুবিধা দেওয়া হবে এবং জেলে বসেই মোবাইল ফোন ব্য়বহার করতে পারবেন তিনি। যাতে জেলে বসেই ভার্চুয়ালি তোলামুল পার্টিকে তিনি নেতৃত্ব দিতে পারেন। এছাড়া তাঁর জন্য় উডবার্ন ওয়ার্ডে একটি বেড ফাঁকা রাখা হয়েছে, যাতে চাইলে সেখানেও কিছুটা সময় কাটাতে পারেন।'


 আরও পড়ুন: 'মমতার পুলিশের সেফ কাস্টডিতে রয়েছেন শেখ শাহজাহান', বিস্ফোরক শুভেন্দু