আবির দত্ত, কলকাতা: শেখ শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) আজ বসিরহাট আদালতে (Basirhat Court) পেশ করবে সিবিআই (CBI)। নিজাম প্যালেস (Nizam Palace) থেকে শেখ শাহজাহানকে নিয়ে বসিরহাটের পথে সিবিআই। ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শেখ শাহজাহানকে। 


সূত্রের খবর, আজ ফের শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে চাইবে সিবিআই। শেখ শাহজাহান কব্জায় এলেও 'উধাও' মোবাইল ফোন। শেখ শাহজাহানের ফোনের খোঁজে সিবিআই। কল রেকর্ড হাতে পেলেও শেখ শাহজাহানের মোবাইল ফোন অধরা। গ্রেফতারির সময় মেলেনি শেখ শাহজাহানের মোবাইল ফোন, দাবি জেলা পুলিশ সূত্রের। তদন্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শেখ শাহজাহানের মোবাইল ফোন, দাবি সিবিআই সূত্রের। 


শেখ শাহজাহান সিবিআই হেফাজতে থাকলেও খোঁজ নেই তাঁর জোড়া মোবাইলের। সন্দেশখালিকাণ্ডে সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতাকে হাতে পেলেও, এখন এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে CBI আধিকারিকদের। কারণ CBI সূত্রে খবর, এখনও হদিশ মেলেনি শেখ শাহজাহানের ২টি মোবাইল ফোনের। জেলা পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারের সময় তাঁর মোবাইল পাননি তাঁরা। CID-ও মোবাইল পায়নি। 


১১ জানুয়ারি, পুলিশের FIR সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে ED দাবি করেছিল, ED-র উপর হামলার সময় শেখ শাহজাহান বাড়িতেই ছিলেন এবং কল রেকর্ড অনুযায়ী, ২-৩ মিনিটের মধ্যে ২৮টি ফোন করেছিলেন।


CBI সূত্রে এও দাবি করা হয়েছিল, ED-র উপর হামলার ঘটনার দেড় ঘণ্টা পর পর্যন্ত, খোলা ছিল শেখ শাহজাহানের দুটি মোবাইল ফোন। তার মধ্যেই কথা হয় সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর সঙ্গে। সিবিআই সূত্রে দাবি, তদন্তে ডিজিটাল এভিডেন্স হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে এই মোবাইল ফোন ২টি। 



৫ জানুয়ারি, কাদের সঙ্গে কী কথা হয়েছিল শেখ শাহজাহানের? এর পাশাপাশি, রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত কোনও বিশেষ তথ্য কি এই ফোন দুটিতে থাকতে পারে? কোনও চ্যাট ডিলিট করা হয়েছে কিনা, ফোন দুটি উদ্ধার হলে জানা যেতে পারে বলে মনে করছে CBI।                                                                     


আরও পড়ুন, দোল অবধি থাকবে ঠান্ডার পরশ? আগামী সপ্তাহে কি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে?