সন্দেশখালি: নির্বাচন চলাকালীন নতুন করে উত্তপ্ত সন্দেশখালি। ভাইরাল ভিডিও বিতর্কের মধ্যে সেখানে তৃণমূল নেতাকে বাড়ি থেকে বের করে এনে, মাটিকে পেলে লাঠিপেটা করলেন মহিলারা।  তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিক এবং বিধায়ক সুকুমার বিধায়কের সামনেই স্থানীয় নেতা তাতান গায়েনকে মাটিতে ফেলে মার। থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বেই এই ঘটনা ঘটল। (Sandeshkhali Situation)


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেশখালিতে একটি বাড়িতে দিলীপ এবং সুকুমার ছিলেন। খবর পেয়ে সেখানে চড়াও হন মহিলা বিজেপি কর্মীরা। এর পর তৃণমূল নেতাকে ওই বাড়ি থেকে বের করে এনে পেটান মহিলারা। বিজেপি-র মহিলা কর্মীদের অভিযোগ, অন্যায় ভাবে ভিডিও তৈরি করা হচ্ছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলেই পৌঁছে যায় পুলিশ। এলাকায় নামাতে হয় RAF. (Sandeshkhali Viral Video)


এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হয়ে এক মহিলা বলেন, "আমরা বিক্ষোভ করতে এসেছি কারণ আমাদের নামে  ভিডিও ভাইরাল করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, আমরা টাকা খেয়েছি। আমাদের নাকি টাকা দিয়ে পথে নামিয়েছেন শুভেন্দু। কে টাকা দিয়েছে নিয়ে আসুক। মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে।" দিলীপ বিডিও-কে মেরে তাড়িয়েছেন, এখন সাধারণ মানুষকে ঘরছাড়া করার হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় মহিলারা। 


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ‘আমাকে চোর বলতে কোটি কোটি খরচ করতে হচ্ছে’, সরাসরি মোদিকে নিশানা মমতার


রীতিমতো পণবন্দি করে রাখা হয় তৃণমূল নেতা এবং বিধায়কদের। বিক্ষোভকারীরা বলেন, “ভিডিও রেকর্ড করে ভিডিও বানানোর চেষ্টা করবে। আমরা চাই দিলীপ সবার সামনে যাক, মা-বোনেদের সামনে।” যাঁকে মারধর করা হয়েছে, সেই তাতান বলেন, "বিজেপি আশ্রিত লোকজন, বিজেপি কর্মীরা এই কাজ করছে। আমি দিলীপের সঙ্গে ঘুরতাম, তৃণমূলের প্রচার করতাম। তাই আমার উপর হামলা করা হয়েছে।"


থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সুকুমারের বক্তব্য, “উনি আমাকে বোঝাতে চাইছেন যে, যা হয়েছে, কে ছড়িয়েছে, কে প্ররোচনা দিয়েছে, তা আমরা জানি না। কারও প্ররোচনা তো আছেই। রেখা পাত্রের নেতৃত্বে আজ থানা ঘেরাও করেছিল ওরা। উস্কানিতে এখানে এসে অতর্কিতে হামলা চালায়। এটা কোনও রাজনৈতিক শিষ্টাচার? সরাসরি গঙ্গাধরকে জিজ্ঞেস করুন ভিডিও মিথ্যা না সত্য়?” দিলীপের বিরুদ্ধে ভিডিও রেকর্ড করে ভাইরাল করে দেওয়ার অভিযোগ। তিনি বলেন, "বিজেপি-র মণ্ডল সভাপতিই সব প্রকাশ করেছেন। কাদের কী সংস্কৃতি বোঝা যাচ্ছে।"ং


এ নিয়ে বিজেপি বিধায়ক নেতা সজল ঘোষ বলেন, "যারা আইন হাতে তুলে নিয়েছিল, এবার তাদের হাত থেকে আইন বেরিয়ে গিয়েছে। ১২ বছর ওখানে আইন ছিল না। এতদিন তৃণমূল যেমন খুশি মারত, ধরত। আমাদের তিন ছেলেকে একদিনে গুলি করে মেরেছিল, এখনও একটা দেহ পাওয়া যায়নি। তাই আজকের এই ঘটনাকে দুঃখজনক ঘটনা বলা যায় না।"


সন্দেশখালি থেকে সম্প্রতি একাধিক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেগুলির সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। ওই ভিডিও-য় বিজেপি-র মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালকে টাকার বিনিময়ে মিথ্যে ধর্ষণের মামলার দায়ের করার কথা বলতে শোনা গিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী টাকা এবং মোবাইল জুগিয়েছেন এবং মহিলাদের মিথ্যে অভিযোগ করতে রাজি করিয়েছেন বলে দাবি করেন গঙ্গাধর। সেই ভিডিও রেকর্ড করা নিয়েই এদিন তৃণমূল নেতাদের উপর চড়াও হন বিজেপি-র মহিলা কর্মীরা।