সন্দেশখালি: সন্দেশখালিতে এবার অভিযোগ প্রত্যাহারে প্রতিবাদীর উপর হামলার অভিযোগ। সিভিক ভলান্টিয়ারের স্ত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠছে। মুখ চেপে ধরে মহিলাকে তিন দুষ্কৃতী তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বলে দাবি। সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করে এমনই দাবি করেছেন প্রতিবাদী। বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের কাছে অভিযোগ জানানোর পরই হামলা হয় বলে অভিযোগ। (Sandeshkhali Situation) এই ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে সন্দেশখালিতে। শাসকদল তৃণমূল যদিও অভিযোগের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
থানায় বয়ান রেকর্ড করেছেন অভিযোগকারিণী। তিন অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতী ছাড়াও তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিকের নাম রয়েছে অভিযোগপত্রে। অভিযোগ করা হয়েছে তৃণমূল কর্মী সৈকত দাস ওরফে পিকাইয়ের বিরুদ্ধে। ওই মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষা হবে।
নির্যাতনের অভিযোগ তুলে নিতে লাগাতার চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ সামনে এসেছে এই ঘটনায়। অভিযোগকারিণীর দাবি, কুকুরের ডাক শুনে গতকাল রাতে বাড়ির বাইরে বেরোতেই তাঁর উপর হামলা চালায় তিন দুষ্কৃতী। মুখে কাপড় ঢুকিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে মুখে কাপড় বাঁধা ওই তিন দুষ্কৃতীর দল। টেনে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় তাঁকে। এর পর ধর্ষণের চেষ্টা হয় বলে দাবি করেছেন তিনি। তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিককে ফোন করে তাঁকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানতেও চায় দুষ্কৃতীরা, দাবি অভিযোগকারিণীর। (Sandeshkhali Case)
অভিযোগকারিণীর দাবি, তাঁর চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে আসেন, তাতেই ভয় পেয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতীরা তাঁকে পুকুর পাড়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। ওই মহিলার সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপি নেত্রী রেখা পাত্র। সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালও। প্রিয়ঙ্কার দাবি, 'শেখ শাহজাহানকে নির্দোষ প্রমাণ করতে তৃণমূলের গুন্ডারা হুমকি দিচ্ছে'। এর পাল্টা বিজেপি বাংলাকে বদনাম করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে দাবি করেছে তৃণমূল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রিয়ঙ্কা লেখেন, 'সন্দেশখালি গিয়েছিলাম আমি, সেখানে তৃণমূলের গুন্ডারা মানুষকে হুমকি দিচ্ছে, যাতে শেখ শাহজাহানকে নির্দোষ প্রমাণ করা যায়। এক মহিলা আমাকে দিলীপ মল্লিকের নির্যাতনের কথা জানিয়েছেন, যিনি কয়েক দিন আগে এক মহিলাকে অপহরণ করেন। সেই নিয়ে অভিযোগ জানানোর পর তৃণমূলের গুন্ডারা ওই মহিলাকে অপহরণ করে, হাত-পা বেঁধে পুকুরের ধারে ফেলে দেয় মরার জন্য। আমরা ওঁকে থানায় নিয়ে যাই'। এই অভিযোগ সামনে আসার পর নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে সন্দেশখালিতে।