শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : ক্রমেই খুলছে দুর্নীতির পরত। আর বেরিয়ে পড়ছে সন্দীপ ঘোষের একের পর এক কীর্তির কথা। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, সন্দীপের বিরুদ্ধে তদন্তে রোজই পাওয়া যাচ্ছে নতুন নতুন নথি। যদিও তার স্ত্রীয়ের দাবি, কিছুই পায়নি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। কোভিড ফান্ড তছরূপ, স্বজনপোষণ, টেন্ডার দুর্নীতি সহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসছে ।
এবার তাঁর বিরাট সম্পত্তির হদিশ মিলল। ক্যানিংয়ের মধ্য নারায়ণনপুর গ্রামে মিলেছে আরজি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আলিশান বাংলোর হদিশ। বাড়ির নাম সঙ্গীতা-সন্দীপ ভিলা। স্থানীয় সূত্রে খবর, দুই ব্যবসায়ী সঞ্জীব চক্রবর্তী ও শঙ্কর চক্রবর্তী যামিনী প্রজেক্টের নামে ১০০ বিঘা জমি কিনে এই প্রকল্প তৈরি করেছেন। এখানেই প্রায় ২ বিঘা জমির ওপর তৈরি হয়েছে সন্দীপ ঘোষের বাংলো। আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ মাঝেমাঝেই সপরিবারে এখানে আসতেন বলে স্থানীয়দের দাবি।
এদিকে, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারির পর আরও চাপে সন্দীপ ঘোষ। এবার আরেক কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি-র স্ক্যানারে সন্দীপ ও তাঁর শাগরেদরা। আর জি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার সকাল থেকে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, সল্টলেক-সহ মোট ৮টি জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে ইডি। আর তারই মধ্যে এই নতুন সম্পত্তির হদিশ।
সন্দীপের জমানায় আর জি কর হাসপাতালে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। CBI সূত্রে খবর, এই সংক্রান্ত বহু তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা গিয়েছে ও তা আদালতে জানানো হয়েছে। আর জি কর মেডিক্যালে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় সন্দীপ ঘোষের পাশাপাশি তাঁর দেহরক্ষী আফসর আলি খান এবং হাসপাতালের দুই ভেন্ডর সুমন হাজরা এবং বিপ্লব সিংহকেও গ্রেফতার করেছে CBI।
ধৃতদের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সুমন হাজরা ও বিপ্লব সিংহকে অনৈতিকভাবে বারবার টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে ১৫ দফা অভিযোগ রয়েছে। মুনাফার ২০ শতাংশ তাঁকে দিতে হবে। অভিযোগ, এই শর্তেই মোটা টাকার বিনিময়ে সুমন হাজরা ও বিপ্লব সিংহকে টেন্ডার পাইয়ে দিতেন সন্দীপ ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগগুলি সামনে আনেন আর জি কর মেডিক্যালেরই প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি।
আরও পড়ুন :