নদিয়া: শান্তিপুরে খুন বিজেপি নেতা। বিজেপিকে নেতাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নিহত বিজেপির বুথ কমিটির সহ সভাপতি অধীর সরকার। শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। বিজেপি নেতাকে খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে খুন বলে দাবি তৃণমূলের। 


সম্প্রতি বোমাবাজির ঘটনাও প্রকাশ্যে আসে নদিয়ায়। নদিয়ার (Nadia) রানাঘাটে (Ranaghat) বিজেপি (BJP) পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। নেপথ্যে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে দাবি করে গেরুয়া শিবির। পাল্টা বিজেপির অন্তর্কলহকে দায়ী করেছে শাসকদল। 


চতুর্থীর রাতেও অব্যাহত রইল রাজনৈতিক হিংসা। ঢাকের বাদ্যি নয়, গভীর রাতে বোমার আওয়াজে ঘুম ভাঙল বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যার। নদিয়ার রানাঘাটের আনুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্যা অর্পণা পাল।


অভিযোগ, বুধবার রাত ৩টে নাগাদ তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ছোড়া হয়। একটি লাগে বাড়ির সামনের দেওয়ালে। বোমার ঘায়ে বাড়ি লাগোয়া দোকানের শাটার ফুটো হয়ে যায়। গত পঞ্চায়েত ভোটে(Panchayat Elections)  আনুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ২৭টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জেতে ২৩টি আসনে। বিজেপি পায় ৪টি আসন। বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যার অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণেই এই হামলা। যদিও, বিজেপির ঘাড়েই বোমাবাজির দায় চাপিয়েছে তৃণমূল।                                                                          


রানাঘাট আনুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্যা অর্পণা পালের কথায়, শাসকদল তৃণমূল থেকেই করেছে, কারা করবে, রাজনৈতিক হিংসার কারণে চোখের ডাক্তার বসাব বলেছিলাম ক্লাবে, বিজেপির প্রার্থী বলে আমাকে বসাতে দেয়নি। 


রানাঘাট ১ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল নেতা ও সভাপতি প্রদীপ ঘোষের কথায়, 'যে বাড়িতে বোম পড়েছে সেই বাড়িতে মিটিং চলে। এদের দুটো লবির গন্ডগোল চরমে। বিরোধীরা আমাদের বদনাম করতে এটা করেছে'। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে যায় রানাঘাট থানার পুলিশ। রাজনৈতিক হিংসা নাকি, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে বোমাবাজি, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।