কলকাতা: গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের চার্জশিটে সাক্ষী হিসেবে শতাব্দী রায়ের নাম। 


সূত্রের খবর, ২৮ সেপ্টেম্বর তৃণমূল সাংসদের বয়ান রেকর্ড করা হয়। শতাব্দীর কাছ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সূত্র মিলেছে, দাবি সিবিআই-এর। সাক্ষীর তালিকায় দলেরই সাংসদের নাম থাকায় শুরু হয়েছে জল্পনা। 


সাংসদের প্রতিক্রিয়া:
এই পরিস্থিতিতে প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। তিনি বলেন, 'প্রথম কথা, ওই নম্বর আমার পিএ-র কাছে থাকে। ওটা বীরভূমে থাকে, আমি কথা বলিনি। দ্বিতীয়ত, আর যদি বলেও থাকি। ১ সেকেন্ড,২ সেকেন্ড,৩ সেকেন্ডের কথা। দলের জেলা সভাপতির সঙ্গে কথা বলব না, বিরাট অপরাধ নাকি। জেলা সভাপতির সঙ্গে সাংসদ কথা বলবে না? কোন মিটিংয়ে যাব, আমার হচ্ছে না, কী কথা হবে, এগুলি কথা হবে না? এর সঙ্গে গরুর কি সম্পর্ক।'


তাহলে সাক্ষ্য দেওয়ার বিষয়টি?
এই বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, 'না না সাক্ষ্য না। আমাকে বলা হয়েছে এই নম্বরটা আপনার? আপনি কথা বলেছেন? আমি বলেছি আমার পিএর। এক লাইন জাস্ট। আমাকে ডাকলে যাব, যাহ না কেন?'


সিবিআই সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের দুটি মোবাইল ফোন ছিল। সিবিআইয়ের দাবি, সেই দুটি মোবাইল ফোনের কলরেকর্ড খতিয়ে দেখা হয়েছে। সেখানে সাংসদ শতাব্দী রায়ের নম্বর মেলে। তারপরেই শতাব্দী রায়কে ডেকে পাঠানো হয়। সূত্রের খবর, শতাব্দী রায় জানিয়েছেন যে, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলার জন্য সায়গল হোসেনকে ফোন করেছিলেন তিনি। সিবিআই বারবার দাবি করেছে যে গরুপাচারকারীদের সঙ্গে সায়গল হোসেনের মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই কথা বলতেন অনুব্রত। ফলে একজন সাংসদকেও যে অনুব্রতের সঙ্গে কথা বলতে সায়গল হোসেনকে ফোন করতে হয়েছিল, সেটাই হয়তো আদালতে দেখাতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।









বিজেপির কটাক্ষ:
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'বীরভূম জেলায় যত দুর্নীতি হয়েছে, রাজনৈতিক হিংসা হয়েছে। তার তদন্ত হওয়া উচিত। উনি ওখানকার সাংসদ, ওখানে অনেকদিন কাজ করেছেন। তাঁর কাছে অনেক তথ্য থাকতে পারে।'


আরও পড়ুন: প্রায় ৭ ঘণ্টা ধরে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ, বইও রাখতে দেওয়া হয়নি, সরব সৌমেন্দু