পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া : সরকারি পরিষেবা ঠিকমতো মিলছে কিনা, সেই ব্যাপারেও করছেন খোঁজ খবর। কলকাতা পুরভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হলেও রাজ্যের বকেয়া পুরভোটের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি। বিধানসভা ভোটের (Assembly Election)ফল অনুযায়ী, ২৪ ওয়ার্ডের বাঁকুড়া পুরসভায় মাত্র ৯টি ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল TMC()। বাকি ১৫টি ওয়ার্ডেই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। 


বিধানসভা ভোটে হার। কিন্তু তারপরও বাঁকুড়াতেই (Bankura) মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন তৃণমূলের তারকা নেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sayantika Banerjee)। 
আসন্ন পুরভোটকে পাখির চোখ করে জনসংযোগে জোর দিচ্ছেন শাসকদলের রাজ্য সম্পাদক। 


এই প্রেক্ষাপটে আগেভাগেই পুরভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। বিধানসভা নির্বাচনে যে ওয়ার্ডগুলিতে দল পিছিয়ে সেখানেই লাগাতার প্রচার চালাচ্ছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। কখনও হুডখোলা গাড়িতে ... কখনও আবার পায়ে হেঁটে, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরে বাড়াচ্ছেন জনসংযোগ। 

আরও পড়ুন :


‘দুয়ারে সরকারের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হচ্ছে’, দিন ঘোষণা মমতার




সায়ন্তিকা বললেন, ' বিধানসভা ভোটে যে এলাকাগুলিতে পিছিয়ে আছি সেখানে প্রচারে জোর দিচ্ছি। খুঁজে বের করতে চাইছি কেন ওই এলাকাগুলিতে হেরেছিলাম। পরবর্তী ভোটে যাতে সমস্যা না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এই পদক্ষেপ।' 


তবে সায়ন্তিকার এই প্রচারকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। বিজেপি নেতা পার্থ কুন্ডু বলেন, ' বাঁকুড়া পুর এলাকায় প্রতি ওয়ার্ডে হেরে আছে তৃণমূল। তাই পরিযায়ী নেত্রীকে দিয়ে প্রচার করে ভোট বৈতরণী পার হতে চাইছে তৃণমূল। উনি পরাজিত এবং বহিরাগত। বাঁকুড়াতে তৃণমূলের কোনও মুখ না থাকায় ওনাকে দিয়ে প্রচার করাচ্ছে। ভোটে কোনও প্রভাব পড়বে না। মানুষ ভোটে যোগ্য জবাব দেবে।' 

পাল্টা জবাবে তৃণমূল কংগ্রেস বাঁকুড়া শহর সভাপতি সিন্টু রজক বলেন, ' হেরে গিয়েও মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন সায়ন্তিকা। সরকারি পরিষেবা মানুষ ঠিকমতো পাচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখছেন। হেরে গিয়েও উনি বারবার বাঁকুড়ায় এসেছেন। উনিই তো মুখ। তাই ওনাকে সামনে রেখে আমরা এগোচ্ছি।' 


২০১৫-র ভোটে বাঁকুড়া পুরবোর্ড দখল করেছিল তৃণমূল। আসন্ন পুরভোটে গড় রক্ষা করতে পারবে কি শাসক দল? নাকি চমক দেখাবে বিজেপি? তা নিয়েই চলছে জোর চর্চা।