কলকাতা: নবম-দশমে সুপারিশ পত্র প্রত্যাহার নিয়ে বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চে নিজেদের অবস্থান জানাল স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission)। কমিশনের অবস্থান সন্তোষজনক নয়, মতপ্রকাশ বিচারপতির। 'প্রথম দিন থেকে জানতে চাইছি এসএসসি-র মাধ্যমে সুপারিশ পত্র দেওয়াতে কোনও ভুল থাকলে তা খুঁজে পেয়েছেন কিনা।খুঁজে পেয়ে থাকলে আপনারা সেক্ষেত্রে কী করেছেন, কমিশনকে প্রশ্ন বিচারপতি দেবাংশু বসাকের। 


'অনেক অনিয়ম খুঁজে পেয়েছি, আদালতের সামনে পেশ করেছি, তারপর আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করেছি', ফের জানাল কমিশন। গ্রুপ সি এবং ডি-র ক্ষেত্রে সুপারিশ পত্র প্রত্যাহারের কোনও বিধি কমিশনের আইনে নেই, জানাল কমিশন।'কাদের কমিশন সুপারিশ পত্র দিয়েছিল, এবং কারা নিয়োগপত্র পেয়েছিল সেটা প্রথমে জানা দরকার। কমিশন যাদের সুপারিশ করেছিল তাদের ছাড়া অন্য ব্যাক্তিরা নিয়োগপত্র পেলে, তা খতিয়ে দেখার জন্য সিবিআই দরকার নেই, মন্তব্য বিচারপতির। কমিশন কেন সব তথ্য আদালতের সামনে নিয়ে আসতে লজ্জা পাচ্ছে ? প্রশ্ন বিচারপতির। 
'বলতে বাধ্য হচ্ছি যে আপনারা কিছু লুকোতে চাইছেন', এসএসসি-র উদ্দেশে মন্তব্য বিচারপতি বসাকের।


'যাঁদের সুপারিশ পত্র দেওয়া হওয়া হয়েছিল তাদের ছাড়া কাউকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি', জানাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। 'নবম-দশমের ক্ষেত্রে ১৮৩ জনের সুপারিশপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে গলদ ছিল। তাঁদের মধ্যে ১২২ জনের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে, জানাল কমিশন'। ৬১ জনের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করেননি কেন ? আদালত বারণ করেছিল ? কোনও স্থগিতাদেশ আছে ? প্রশ্ন বিচারপতির এমন কিছু নেই, বিচারপতির প্রশ্নের উত্তরে জানাল কমিশন। 'তাহলে প্রত্যাহার করুন', মন্তব্য বিচারপতির। 'এই ৬১ জনের রাজ্যের বেতন ভোগ করার কোনও অধিকার নেই, মন্তব্য বিচারপতির। 


আরও পড়ুন, 'কারও অ্য়াম্বিশন ঐশ্বর্যকে বিয়ে করবে..', রাজনীতির ময়দানে হঠাৎ কেন এমন বললেন TMC বিধায়ক চিরঞ্জিত ?


কমিশনের চেয়ারম্যানের আশঙ্কা যে এটা করলে তিনি আদালত অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত হবেন, সওয়াল কমিশনের আইনজীবী। তাঁকে এটার সম্মুখীন হতে দিন, এটা তাঁর কাছে নতুন কিছু নয়, মন্তব্য বিচারপতির। র‍্যাঙ্ক জাম্পিং আর ওএমআর বিকৃত করা ছাড়া আর কী কী অভিযোগ ছিল ? প্রশ্ন বিচারপতির। প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছে এই অভিযোগ ছিল, জানাল কমিশন। বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার জন্য আরও একবার কমিশনকে সময় দিল আদালত । আগামী পরশু দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে কমিশন।